আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে রাশিয়ার আঁতাতের অভিযোগ উঠে আসছে। তারই জের ধরে এবার সহযোগীদের, সন্তানদের এমনকি নিজেকে বাঁচানোর উপায় খুঁজছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহারের কথা বিবেচনা করছেন তিনি।
জানা গেছে, গত বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ ও রুশ কর্মকর্তার সঙ্গে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবিরের গোপন আঁতাতের ব্যাপারে তদন্ত করছে মার্কিন সিনেট, বিচার বিভাগ ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এমন পরিস্থিতিতে এসব অভিযোগ থেকে বাঁচার উপায় খুঁজছেন ট্রাম্প। এ ব্যাপারে ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, ইতিমধ্যে রাশিয়ার ব্যাপারে তদন্তে নিয়োজিত সাবেক এফবিআই প্রধান বিশেষ কৌঁসুলি জেমস মুলারকে থামিয়ে দিতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। এমন প্রচেষ্টার সঙ্গে পরিচিত কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, ট্রাম্পের আইনজীবীরা মুলারের বিরুদ্ধে স্বার্থের দ্বন্দ্ববিষয়ক বিভিন্ন অভিযোগ জড়ো করে রুশ তদন্তে তার ভূমিকাকে খাটো করার বিভিন্ন উপায় এবং ট্রাম্প কিভাবে নিজেকে ক্ষমা করার ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারেন তার সম্ভাব্য উপায় সন্ধান করছেন ।
এর মধ্যে একটি সূত্র বলেছে, ট্রাম্প তার আইনজীবীদের জিজ্ঞাসা করেছেন, রুশ তদন্তে ট্রাম্প প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তিনি নিজেকে ও নিজের সন্তানদের ক্ষমা করতে পারবেন কিনা। এ পর্যন্ত আমেরিকার কোনো প্রেসিডেন্টই ক্ষমতার ব্যবহার করেননি নিজেকে ক্ষমা করার ক্ষেত্রে । অন্যদিকে এ ব্যাপারে মার্কিন সিনেট গোয়েন্দা কমিটির সর্বোচ্চ পদের একজন ডেমোক্রেট বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি নিজেকে ক্ষমা করার ক্ষেত্রে নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করেন তবে সেটা হবে ‘চরম বিব্রতকর’।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি