নিজস্ব প্রতিবেদক:
আবাসিক হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের কর্মী ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. আব্দুর রহিমসহ দু’ছাত্রলীগ কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেছে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা রাত ১০ টা থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
এতে পুরো ক্যাম্পাসে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সভাপতি শাহিনুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম উভয়ে বসে বিষয়টি মীমাংস করে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শেখ মুজিবুর রহমান হলে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের শাহজালাল সোহাগ, কামরুল ইসলাম অনিক, তুর্য ও তুষার সহ কয়েকজন কর্মী অর্থনীতি বিভাগের ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আব্দুর রহিমকে কিল, ঘুষি, লাথি ও লাঠি দিয়ে ব্যাপকভাবে মারধর করে।
এতে সে মাটির মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। ওই সময় তার বন্ধু বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মনির ও তপু বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করে।
এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা আহত অবস্থায় আব্দুর রহিমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে যায়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
এ ঘটনার জের ধরে উভয় গ্রুপের নেতা কর্মীরা লালন শাহ হল ও জিয়া হলের সামনে লাঠি সোটা, ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
পরে রাত ১২ টার দিকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একত্রিত হয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
এ বাপারে সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম বলেন, ‘আমাদের কর্মীদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। পরে আমরা উভয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি। এছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমানকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ