নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা তিন কার্যদিবসে সূচকের পতন অব্যাহত থাকলেও বৃহস্পতিবার ঘরে দাঁড়িয়েছে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। তবে এদিন লেনদেন মন্দা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৬৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে হয়েছে মাত্র ৪১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ডিএসই ও সিএসই’র বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৫টির, কমেছে ১৫২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪২টির। এ সময় বাজারে ১৯ কোটি ৪১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪১টি শেয়ার হাতবদল হয়। যার বাজার মূল্য ছিল ৬৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
এ সময় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৬ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করেছে পাঁচ হাজার ৭৮২ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে।
ডিএসইএস সূচক দশমিক ১ দশমিক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে এক হাজার ৩১৩ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১২১ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে।
দিন শেষে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোসের। এদিন কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। টার্নওভারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ২০ কোটি ১৮ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে ছিল ডোরিন পাওয়ার।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- প্রিমিয়ার ব্যাংক, কেয়া কসমেটিকস, গ্রামীন ফোন, শাহজিবাজার পাওয়ার, ইউনিক হোটেল, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ও ফু-ওয়াং ফুড।
এদিকে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৬৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১০৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এ সময় সিএসইর সাধারণ মূল্য সূচক বেড়েছে ১২ দশমিক ৫২ পয়েন্ট।
দিনশেষে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে ছিল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।এদিন কোম্পানিটির ১১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
টার্নওভার তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- ফু-ওয়াং ফুড, বেক্সিমকো, আমান ফিড, কেয়া কসমেটিকস, জেনারেশন নেক্সট, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, হামিদ ফেব্রিকস, সাইফ পাওয়ার ও ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ব্যাংক।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ