নিজস্ব প্রতিবেদক:
মালয়েশিয়ায় ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাচ্ছে অবৈধ বাংলাদেশিরা। এই সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার বা হয়রানি করা হবে না। মঙ্গলবার বিকেলে দূতাবাসের হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেফতার না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের ডিফেন্স উইং প্রধান এয়ার কমডোর হুমায়ূন কবির, মিনিস্টার পলিটিক্যাল রউছ হাসান সারোয়ার, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. মশিউর রহমান তালুকদার, দ্বিতীয় সচিব তাহমিনা ইয়াছমিন, শ্রম শাখার দ্বিতীয় সচিব মো. ফরিদ আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে হাইকমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম বলেন, মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অবৈধ বাংলাদেশিদের ভাগ্য নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। আপাতত ৫ মাস সময় পাওয়া গেছে। এই সময়ের মধ্যে তাদের সঙ্গে আরও বৈঠক হবে।
তিনি বলেন, অবৈধ ব্যক্তিদের ধরপাকড় যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার একটি স্বাভাবিক ও চলমান প্রক্রিয়া। তবে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ মালিকপক্ষের চিঠির ভিত্তিতে তাদের নিরাপদে ইমিগ্রেশন অফিসে যাতায়াতে সুযোগ করে দেবে। এছাড়াও তারা অন্যান্য কার্যকর পন্থা নির্ধারণের চেষ্টা করছে। এটি বাংলাদেশের পক্ষে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।
হাইকমিশনার বলেন, গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ইকার্ড প্রক্রিয়ায় ১ লাখ অবৈধ বাংলাদেশি নিবন্ধিত হয়েছে এবং ২ লাখ ৯৩ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি মাই-ইজির মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছে।
বৈঠকে অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক মোস্তাফার আলী বলেন, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় বসবাসরত সব অবৈধ বাংলাদেশি রি-হিয়ারিং প্রক্রিয়ায় বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন। ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক এ সুযোগ গ্রহণের জন্য সব অবৈধ বাংলাদেশির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার কুয়ালালামপুরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ ও শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রবাসীদের জন্য গত এক সপ্তাহে ৩১ হাজার ৯৮৪ জনকে কনস্যুলার সেবা প্রদান করা হয়েছে। দূতাবাসে আগত সেবা গ্রহণকারীরা ওয়ান স্টপ সার্ভিসের আওতায় ব্যাংকিং সার্ভিসসহ অন্যান্য সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া সীমিত মূল্যে দূতাবাসের সব সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন থেকে এ পর্যন্ত দেড় হাজারেরও বেশি বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে সে দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ