নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন শ্যামলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া তরুণী মিথিলা (২২) মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টায় মারা যান তিনি।
গত ৯ জুলাই শনিবার রাতে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাজিন হোটেল থেকে অচেতন ও ক্ষত অবস্থায় মিথিলাকে উদ্ধার করেছিল। পুলিশের ধারণা, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেল রুমে নিয়ে ধর্ষণের পর গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে পালিয়ে যায় ওই যুবক।
তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই আজিজুল হক জানান, মিথিলাকে উদ্ধারের পরপরই ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল কিন্তু তার জ্ঞান ফিরে আসেনি। বুধবার দুপুরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করে চিকিৎসকরা। সকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এখনও মিথিলার আসল পরিচয় পাওয়া যায়নি বলেও জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
এসআই আরো জানান, স্বামী পরিচয়ে রুম ভাড়া নেওয়া আরশাদকে খোঁজ করা হচ্ছে। কেনইবা তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল তারও কোনো ক্লু পায়নি পুলিশ। তাজিন হোটেলের রেজিট্রি খাতা থেকে মিথিলা ও আরশাদ নাম নিয়েও পুলিশের সন্দেহ এগুলো আসল নাম কিনা। তারপরও পুলিশ দেশের সব থানায় ছবি দিয়ে রেখেছিল তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য। এখন পর্যন্ত কোনো তথ্যই পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানান এসআই আজিজুল।
৯ জুলাই রাতে শ্যামলির তাজিন হোটেলের ১০৭ নম্বর কক্ষ থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ মিথিলাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। ঘটনার তথ্য বিবরণীতে জানা যায়, ওই দিন রাত ৮টার দিকে আরশাদ (২৫) নামে এক যুবক স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে মিথিলাকে নিয়ে তাজিন হোটেলের ১০৭ নম্বর কক্ষে ওঠেন। এরপর রাত ১০টার দিকে ওই যুবক হোটেল থেকে বেরিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। তারা তাৎক্ষণিক পুলিশে খরব দেয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ওই কক্ষ থেকে তরুণীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ