নিজস্ব প্রতিবেদক:
আদালতের এজলাস কক্ষে ভাংচুর, বেঞ্চ কর্মকর্তাকে মারধর ও আদালতের কার্যক্রমে ব্যাঘাতের সৃষ্টির ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় ৫ আইনজীবীকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বেঞ্চ অফিসাররা অনৈতিকভাবে আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওই পাঁচ আইনজীবী হলেন- নূরে ই আলম উজ্জ্বল, লিজেন পাটোয়ারী, সুলতান মাহমুদ, মতিলাল বেপারি ও মোহাম্মদ আলী। এর আগে ১০ জুলাই আদালতের এজলাস কক্ষে ভাংচুর, বেঞ্চ কর্মকর্তাকে মারধর ও আদালতের কার্যক্রমে ব্যাঘাতের সৃষ্টির ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চান সুপ্রিম কোর্টের ওই পাঁচ আইনজীবী।
আদালতে আইনজীবীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল ও বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সাবেক সভাপতি আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার প্রমুখ।
গত ১৯ জুন আদালতের এক আদেশে বলা হয়, ২৪ নম্বর কক্ষে (এনেক্স) কিছু সংখ্যক আইনজীবী চিৎকার শুরু করেন, যা এ আদালতের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। এরপর চার আইনজীবী ডায়াসে চলে এসে রফিকুল ইসলাম নামের বেঞ্চ কর্মকর্তার ওপর চড়াও হন, তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন এবং আদালতের মামলার নথিপত্র তছনছ করেন। তাদের অজুহাত ছিল, তালিকাভুক্ত না হওয়া মোশনের (আবেদন) শুনানি হয়নি। আইনজীবী মোহাম্মদ আলীসহ অন্য কিছু আইনজীবী ডায়াসের পাশে দাঁড়িয়ে এসব কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দেন। এসব অভিযোগে পাঁচ আইনজীবীর বিরুদ্ধে রুল জারি করে ২ জুলাই তাদের হাজিরের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরপর ২ জুলাই ৫ আইনজীবী আদালতে হাজিরের পর আদালত শুনানির জন্য ১০ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছিলেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তাদের ক্ষমা করে এ রায় দেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ