নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংখ্যালঘুদের পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখলে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের সহযোগীতা করছে ভূমি অফিসের কয়েকজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারী। ফলে ওই সমস্ত সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে সংখ্যালঘু কয়েক পরিবার। শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রামের মৃত যদুনাথ মিত্রের ছেলে প্রতাপ মিত্র বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার দুপুরে এই অভিযোগ করেন। প্রতাপ মিত্র তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বর্তমান সরকার যখন সংখ্যালঘুদের সঠিক নিরাপত্তা বিধানে বদ্ধ পরিকর, ঠিক সেই মুহূর্তে উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নে গন্ডগ্রাম গ্রামে সামান্য কয়েকজন ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীদের নিকট আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। আমরা সংখ্যালঘু কয়েক পরিবার। আমাদের পৈত্রিকভাবেপ্রাপ্ত স্বত্ব দখলীয় জমিজমা ও বাড়িঘর স্থানীয় ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছে এবং ওই সব ভূমিদস্যুরা জোট হয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি জবর দখল করার উদ্দেশে ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টিতে সহযোগিতা করছে ভূমি অফিসের চিহ্নিত কয়েকজন ঘুষ খোর কর্মকর্তা ও কর্মচারী। প্রতাপ মিত্র আরো অভিযোগ করেন, তার বাবার পরিত্যাক্ত সম্পত্তিতে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া স্বত্ববান ও দখলকার নিযুক্ত থাকাবস্থায় বিগত ২২ এপ্রিল ২০১৫ইং তারিখে ভূমি অফিসে খাজনা দিতে গিয়া জানতে পারি যে, ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে স্বত্ববান ও দখলকার নিযুক্ত থাকাবস্থায় প্রতিপক্ষ স্থানীয় নুরনবী প্রাং পিতা মৃত- আব্দুস সামাদ প্রাং সাকিন গন্ডগ্রাম (পূর্বপাড়া) থানা- শাজাহানপুর, জেলাঃ বগুড়া। বিগত ২৪/৫/১৪ইং তারিখে ৪৪২৯(৯-১) ১৩-১৪ নং খারিজ মূলে ১-১৮ এক একর আঠার শতক সম্পত্তি নিজের নামে খারিজ করিয়া উক্ত সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করিতেছে। ওই সম্পত্তি আমার পিতামহ বনমালী মিত্র নামিও সি,এস খতিয়ান ৪৩৫ এম,আর,আর ৪৪৩ নং খতিয়ান ভুক্ত ১-৪১ শতক সম্পত্তি আমরা বংশানুক্রমে দখল ভোগ থাকা অবস্থায় উক্ত ৪৪২৯(৯-১) ১৩-১৪ নং খারিজ বাতিলের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাজাহানপুর বরাবর গত ১১ মে ২০১৫ ইং তারিখে বরাবর আবেদন করি। যাহার বিবিধ কেস নং ১০(১৩)১৫-১৬ দাখিল করিলে তাহা চলমান আছে। এমত অবস্থায় বিগত ৭ জানুয়ারি ২০১৬ ইং তারিখে নুরনবীও তাহার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে যাহা স্থানীয়ভাবে কমিশনার সাহেব ও চেয়ারম্যান সাহেব ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণের উপস্থিতিতে বিগত ৯জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে হামলার পর একটি আপোষ মিমাংষা করে। আমার উপর হামলা হওয়ার কারণে আমি জেলা বগুড়ার প্রথম যুগ্মজেলা জজ আদালতে বাদী হইয়া একটি মোকদ্দমা দাখিল করি। বিজ্ঞ আদালতেন সুনানী অন্তে আমাকে বিগত ১৩ জুলাই ২০১৭ ইং তারিখে অনবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা (Injengtion) জারি করেন। এমতাবস্তায় গত ১৫ জুলাই তারিখে নুরনবী প্রাং, পিতাঃ আব্দুস সামাদ প্রাং, সাং গন্ডগ্রাম, থানা: শাজাহানপুর, জেলা বগুড়া জোর করিয়া আমার জমিতে দাগ নং সাবেক ১০১১ হাল ৩৯৮ ডিপি খতিয়ান ১৩৬২ জমির পরিমাণ ৪০ শতক আদালতের আদেশ অমান্য করে ইউক্যালেপ্টাস গাছের চারা লাগাইয়া জোর পূর্বক দখল করে আমার জমি দখল হওয়ায় ১৬ জুলাই তারিখে শাজাহানপুর থানায় একটি অভিযোগপত্র দাখিল করি এবং থানা থেকে এসআই মানুদ রানা গত ১৭ জুলাই তারিখে তদন্ত করেন। ওই অবস্থায় আমি বাবার ত্যাক্ত স্বত্বদখলীয় জমিজমা ও পরিবারের জানমাল লইয়া চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন যাপন করিতেছি।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ