২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:২৫

নারী সদস্য বাড়াতে ইসির শর্তে ক্ষোভ প্রকাশ ইসলামী দলের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নারী সদস্য বাড়াতে নির্বাচন কমিশনের শর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিবন্ধিত ইসলামী দলের নেতারা। এরকম ১১টি ইসলামী দল ইসির চিঠি পেয়ে দিশেহারা দলগুলো। এমনকি নিবন্ধন হারানোর ভয়েও আছেন তারা। তাই এই ধরনের বিধি না রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন অনেকে। ২০২০ সালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ এসব দল। কিন্তু অধিকাংশ দল গত নয় বছরে লক্ষ্যের অর্ধেকও পূরণ করতে পারেনি। এ অবস্থায় গত ১৩ জুন নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত ৪০টি দলের কাছে ‘নারী প্রতিনিধিত্ব অন্তর্ভুক্তির’ সর্বশেষ তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়। জানা যায়, নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে দেখেছে তাদের কাছে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোনো কোনো দলের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের কমিটিতেই নারী সদস্য নেই। আবার কয়েকটি দলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারী রয়েছেন, কিন্তু তৃণমূলের কোনো স্তরেই নেই। বিশেষ করে ইসলামী দলগুলোর অবস্থা এরকম। তাদের সামনে মাত্র সাড়ে তিন বছরে ৩৩ শতাংশ নারী অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যমাত্রা ঝুলছে। এ অবস্থায় ইসলামী দলগুলোর নেতারা বলছেন, দেশের রক্ষণশীল বাস্তবতা বিবেচনায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নির্ধারিত সময়ের সম্ভব তো নয়। তাই সময়সীমা বাড়াতে হবে। আগামী তিন বছরে কমিটিতে নারী অন্তর্ভুক্তির প্রতিশ্রুতি জানিয়ে ইসির চিঠির উত্তর দিয়েছে খেলাফত মজলিশ। এ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল কমিটির কোথাও নারী নেতৃত্ব নেই।দলটির মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠনগুলোয় নারী প্রতিনিধিত্ব ৩৩ শতাংশ রাখা খুবই কঠিন। বাস্তবতা বিবেচনা করে এ সময়সীমা বাড়ানো উচিত। এছাড়া ধরনের নিয়ম থাকা উচিত নয়। ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. আবদুল লতিফ নেজামী জানান, কোনো দলেই তো ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নেই। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিরও নেই। এটি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। মাওলানা নেজামী বলেন, আমাদের নির্বাহী কমিটিতে নারী প্রতিনিধি রয়েছেন। আমরা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি, সময় লাগবে। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের দফতর সম্পাদক সেলিম মিয়াজি জানান, কমিটিতে নারী প্রতিনিধি থাকলেও তার হার এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। সার্বিকভাবে আগামীতে নতুন কমিটিতে তাদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো হবে। এটি একটি কঠিন কাজ যা কোনো দলের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব না। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মহাসচিব আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেন, আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারী রয়েছেন, কিন্তু তৃণমূলে নেই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩৩ শতাংশ পূরণ করা কঠিন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল হক ফারুক জানান, দলটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে কয়েকজন নারী সদস্য থাকলেও তৃণমূলের কমিটির অনেক পদ খালি রাখা হয়েছে। নারীদের সক্রিয় করাটাই মূল চ্যালেঞ্জ।

দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জুলাই ১৯, ২০১৭ ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ