আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
হিমালয় পর্বতের কাছে দুর্গম একটি এলাকা নিয়ে পরমাণু শক্তিধর চীন ও ভারতের মধ্যে যে সামরিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে তা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ আশঙ্কাজনক খবর দিয়েছে। গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে দুর্গম ‘ডোকলাম’ মালভূমিতে চীন ও ভারতের সেনারা একে অপরের ‘চোখে চোখ’ রেখে চলছে। তারা অত্যন্ত আগ্রাসী অবস্থান নিয়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দুই পক্ষ আরো সেনা পাঠিয়েছে সেখানে। এলাকাটিতে এখন যুদ্ধের প্রায় সব উপাদান উপস্থিত। এমন জোরালো উপস্থিতির পরও সেখানে সেনা সংঘর্ষের কোনো ঘটেনি তবে চীনের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, “সেখানে যুদ্ধ শুরু হতে পারে।” ভারতের হাতে বর্তমানে ১০০’র বেশি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে; অন্যদিকে চীনের হাতে এ ধরনের ওয়ারহেড রয়েছে ২৫০টির বেশি। গতকাল গোলযোগপূর্ণ ডোকলাম সীমান্তে চীন তাজা গুলির মহড়া চালিয়েছে। এ মহড়া সব আশঙ্কাকে জোরদার করেছে। এছাড়া, নয়াদিল্লিতে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সীমান্তের গোলযোগপূর্ণ এলাকা থেকে ভারতকে নিঃশর্তভাবে তার সেনা সরিয়ে নিতে হবে। ভারতের সিকিম প্রদেশের সীমান্তে যে ডোকলাম বা দোংলং এলাকা নিয়ে দুই দেশ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে সেখানে খুব কম সংখ্যক মানুষের বসবাস রয়েছে তবে কৌশলগত দিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে ভারত, চীন ও ভুটানের সীমান্ত রয়েছে। ওই এলাকায় গতমাসে চীন একটি রাস্তা তৈরি করতে গেলে ভারত তাতে বাধা দেয় এবং সেখান থেকে চলমান উত্তেজনা শুরু হয়। চীন বলছে, নিজের সীমান্তে তারা রাস্তাটি তৈরির চেষ্টা করছিল। দীর্ঘদিন ধরে ভারত দাবি করে আসছে, চীন তার আড়াই লাখ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে; অন্যদিকে চীন বলছে, ভারতের দখলে তার সাড়ে পাঁচ লাখ বর্গ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি