নিজস্ব প্রতিবেদক:
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) মেয়র মনিরুল হক সাক্কু আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। এরপর শুনানি নিয়ে ২৪ মে পর্যন্ত আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলায় গত ১৮ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। একইসঙ্গে আদালত সাক্কুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশও দিয়েছেলেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাক্কু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি দুদকের সহকারি পরিচালক (বর্তমানে উপপরিচালক) শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সাক্কু এক কোটি ২৮ লাখ ১১ হাজার ৭৪৩ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন এবং স্ত্রীর যোগসাজশে চার কোটি ২৩ লাখ ৯৩ হাজার ১৬ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
তদন্ত শেষে গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি দুদকের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে সাক্কুর বিরুদ্ধে এক কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকার সম্পদের হিসাব গোপনসহ মোট চার কোটি ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তা ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ করা হয়।
২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুসিকের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অধ্যক্ষ আফজল খানকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। চলতি বছরের ৩০ মার্চ কুসিকের দ্বিতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে হারিয়ে আবারও মেয়র নির্বাচিত হন ধানের শীষ প্রতীকের এ প্রার্থী। এ নির্বাচনে সাক্কু পান ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট এবং আঞ্জুম সুলতানা সীমা পান ৫৭ হাজার ৮৬৩ ভোট।
M/H