২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৪:২০

আদুরি নির্যাতনে গৃহকর্ত্রী নদীর যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শিশু গৃহকর্মী আদুরিকে নির্যাতন করে মৃত ভেবে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার মামলায় আসামি নওরীন জাহান নদীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার এ রায় দেন। এর আগে গত ৯ জুলাই আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারা ও ডিওএইচএস তেলের ডিপোর মাঝামাঝি রেললাইন সংলগ্ন একটি ডাস্টবিনের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় কঙ্কালসার ও মৃতপ্রায় গৃহকর্মী আদুরিকে।

উদ্ধারের সময় তার শরীরে অসংখ্য নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। মারধর, গরম খুন্তি ও ইস্ত্রির ছ্যাঁকা, ব্লেড দিয়ে শরীরে আঘাত, মাথায় কোপের চিহ্ন স্পষ্ট।

ঢাকা মেডিকেলে প্রায় দেড় মাস চিকিৎসা শেষে ৭ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের নিজ গ্রামে ফিরে যায় আদুরি। ওই ঘটনায় ২৬ সেপ্টেম্বর পল্লবী থানায় গৃহকত্রী নওরীন জাহান নদী, তার স্বামী সাইফুল ইসলাম মাসুদ, মাসুদের দুলাভাই চুন্নু মীর ও তাদের আত্মীয় রনিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

তবে পুলিশি তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিট থেকে মাসুদ, চুন্নু মীর ও রনির নাম বাদ দেয়। আর তদন্তে নদীর মা ইসরাত জাহানের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় নতুন করে তাকে আসামি করা হয়। ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় নদীকে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। জামিনে রয়েছেন তার মা ইসরাত জাহান।

গ্রেফতারের পর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদুরিকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করে ওই বছরের ১ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন নদী।

আদুরিও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর গৃহকর্ত্রী নওরীন জাহান নদী ও তার মা ইসরাত জাহানকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) কুইন আক্তার।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :জুলাই ১৮, ২০১৭ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ