২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:০৯

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারব: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার বিষয়ে প্রচণ্ডভাবে আত্মবিশ্বাসী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, ‘সকল দল, বিদেশি যেসব প্রতিনিধিরা আছেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমরা করতে পারব।’

রবিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।

বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জনের মুখে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে সমালোচনা আছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন চাইছে আগামী সংসদ নির্বাচনে যেন সবাই অংশ নেয়। সে জন্য সব দলকে আস্থায় আনার উদ্যোগ নেয়ার কথা বলছে তারা।

আগামী নির্বাচনে সবাই সমান সুযোগ পাবে বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেইয়িং ফিল্ড তৈরিতে আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে। সরকারের কিছু দায়িত্ব আছে। একজন ভোটার বা প্রার্থীর আইনি সুরক্ষা দেয়ার বিষয়ে ইসির আইনে বলা আছে। সে বিষয়ে আমরা অবশ্যই পদক্ষেপ নেব।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দলকে আমরা আহ্বান জানা্বো তাদের বক্তব্য আমাদের কাছে জানাতে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে- নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে মোস্টলি টেকনিক্যাল। কীভাবে নমিনেশন পেপার সাবমিট হবে। এরপর তাদের কি করণীয়। একজন ভোটার কীভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবে। একটি নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সভা সমাবেশ কীভাবে করবে, কারা বাধা দিচ্ছে সেটি নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তবে হ্যাঁ তফসিল ঘোষণা হলে তখন সব বিষয় আমরা দেখব। এর আগে এসব নিয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। সিডিউল ঘোষণার পর যদি প্রার্থীকে বাধা দেয়া হয়। ভোটারকে যদি ভোট দিতে ভয় দেখানো হয়। এসব বিষয়ে আমাদের করণীয় আছে। জনপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের ৬ নম্বর অনুচ্ছেদে এ নিয়ে বিস্তারিত বলা আছে। ভোটা্র এবং প্রার্থীর আইনি প্রটেকশন আমরা দেবো।’

বিএনপি অভিযোগ করছে তারা সভা সমাবেশের সুযোগ পাচ্ছে না। নির্বাচনের সমান সুযোগ তৈরিতে এখনই এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন নেবে কি না-জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আমরা সরকারকে অনুরোধ করতে পারি না বা প্রভাব সৃষ্টি করতে পারি না। এটা আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। এখন সরকারি কোনো কর্মকাণ্ডের উপর হস্তক্ষেপের কোনো আইনগত অধিকার আমাদের নেই।’

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও এভাবে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হয়েছিল। এবারের ঘোষণা সেটার আদলেই কি না, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘দেখুন গত নির্বাচন কোন প্রেক্ষাপটে হয়েছে সেটা তারা বলতে পারেন। সেটা আপনারও দেখেছেন। কিন্তু আমাদের প্রেক্ষাপট আর সেই প্রেক্ষাপট এক নয়। আমরা আমাদের চিন্তা, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছি। তারা করেছে তাদের মতো করে, আমরা করছি আমাদের মতো করে। আমাদের প্রেক্ষাপটে কোনো পরিবর্তন নেই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমরা নির্বাচন আয়োজন করবো। রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনা করতে পারেনি ওই সময়। এটা কিন্তু আমাদের বিষয় নয়। রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনা করবে কি করবে না এটা সরকারের বিষয়। এটা ইসির বিষয় নয়। নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় শুধু সেটা নিয়েই আমরা ভাবি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংলাপটা একেবারেই আমাদের এখতিয়ারভুক্ত নয়।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোট গ্রহণে ইভিএমের ব্যবহারের বিষয়টি তারা একেবারে বাদ দেননি। তবে এটা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

নির্বাচন কবে হবে, সে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এটা বলা যায় না। এ কারণে যে, অটোমেটিক্যাললি ৯০ দিন আগে পার্লামেন্ট ডিজলব হবে। তবে যারা সরকারে থাকেন তারা যেকোনো সময় পার্লামেন্ট ডিজলভ করতে পারেন। তবে নির্বাচনের জন্য ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এর ৯০ দিন আগে কেউ যদি পার্লামেন্ট ডিজলব নাও করেন তখন অটোমেটিক্যাললি পার্লামেন্ট ডিজলভ হয়ে যাবে।’

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

 

প্রকাশ :জুলাই ১৬, ২০১৭ ৬:২৮ অপরাহ্ণ