দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক:
ইতালিতে ‘তরিনো ইন্টারন্যাশনাল বুক ফেস্টিভাল’ প্রতিযোগিতায় সেরা লেখকের পুরস্কার লাভ করেছেন বাংলাদেশি তরুণী তাহমিনা ইয়াসমিন শশী। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সম্প্রতি তরিনো ইন্টারন্যাশনাল বুক ফেস্টিভাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার গ্রহণ করেন শশী। গত ৩০ বছর ধরে ইন্টারন্যাশনাল বুক ফেয়ার তরিনো সেরা লেখক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। প্রতি বছর বিভিন্ন ভাষাভাষী লেখক ও সাংবাদিকদের লেখা নিয়ে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ বছর এই প্রতিযোগিতায় প্রায় ৪ হাজার জন লেখক ও সাংবাদিক অংশ নেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশি তাহমিনা ইয়াসমিন শশীসহ বিভিন্ন দেশের ১০ জন সেরা লেখক এবার এ পুরস্কার লাভ করেন। পুরস্কারপ্রাপ্তরা অন্যরা হলেন, মনিয়া ক্রিমালদি (ইতালি), মেলিতা ফারকোভিক (ক্রোয়েশিয়া), ফাতিমা ইযাহরা গারগুয়েক (মরক্কো), আইজা জুলিকা (লিথোনিয়া), রোকসানা লাজার (রোমানিয়া), সানতিনা লাজ্জারা (ইতালি), মারইয়ামা মারকেলা লিউক (আর্জেন্টিনা), মালভিনা সিনানী (আলবেনিয়া) ও রোবার্তা ভিলা (ইতালি)। প্রতিযোগিতায় তার লেখার শিরোনাম ছিল ‘ভ্রুণহত্যা’। ইতালিয়ান ভাষায় যার নাম ‘তি পারলেরো দেলা লুনা’। শশী বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার কার্তিকপুরের হাবিবুর রহমান ও হাসিনা হাবিবের মেয়ে। তিনি বর্তমানে ইতালির ভেনিসে বসবাস করছেন। শশী কমনি দি ভেনিস ইমিগ্রেশন অফিসে একজন অনুবাদক হিসেবে কাজ করেন। তিনি ইতালি ভাষা শেখান বিভিন্ন দেশের ভাষাভাষী মানুষদের। বাংলাদেশি অভিবাসী যারা লিবিয়া থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইতালি এসেছেন তাদের জন্য অনুবাদক হিসেবে কাজ করছেন সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। চাকরির পাশাপাশি ইউনিভার্সিটি ক্যাথলিকা দেল সাকরো কোওরে (Università Cattolica del Sacro Cuore ) সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করছেন শশী। তার কবিতা ও ফিচার বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। পড়াশোনা শেষ করে তিনি বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে চান এক ভিন্ন রুপে। এজন্য বাংলাদেশে ফিরে যেতে চান তিনি।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ