২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:০৮

যমুনার পানি বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পনি ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অভ্যন্তরীন করতোয়া, গুমানী, হুরাসাগর, ফুলজোড় নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে আরো ২৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের প্রায় ৭ হাজার মানুষ নতুন করে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যায় জেলার ৫০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৪টি ইউনিয়ন। জেলার বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর, সদর ও চৌহালী উপজেলার ২৪৭টি গ্রামের ৪৭ হাজার ৬৬০টি পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৯৮০টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং ২৭২৭৭টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ৬ কিলোমিটার বাঁধ ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯১৪০ হেক্টর ফসলী জমি। বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ৩৫০ মেট্রিক টন চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও নগদ ১২ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানিয়েছেন। সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক মো: ইউসুফ রেজা জানান ৫টি উপজেলার ১৩৯টি বিদ্যালয়ের মাঠে ও ২৭টির ভবনে পানি উঠেছে। কাজিপুর উপজেলার ফুলজোড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জুলাই ১৫, ২০১৭ ১:১২ অপরাহ্ণ