শিল্প–সাহিত্য ডেস্ক:
নীলের জন্য
নীল তোর দেহ বোনা একমুঠো মেঘ
ঘুমায় নীলিমায়।
আহা নীল তোর ওড়নায় শ্রাবণ দোল খায়
কুয়াশার পাল ওড়ে শালুক ঘাসের সুখে
নীল তোর ঠোঁট ছোঁয়া
একদুপুর মেঘে।
নীলের সুখদুঃখ প্রভাত ফেরির স্রোতে
শুকে যায় চন্দন গাঁয় শিশিরের সাথে।
তবু নীলিমার অমন খোলা পায়
বনলতা চুমো দেই। সবটুকু ছোঁয়া দেই
পোস্টারে আঁকা ইউফ্রেটিস সভ্যতায়।
নীলের বাঁকে বাঁকে স্বপ্ন বুনি
বুকের ঝাঁপিতে ভরে
জ্যোৎস্নার বৃষ্টিতে সারারাত।
তো নীল হয়ে যাক
বাসরের সৌররেখায় একসাথে আজ রাত
রোদেলা পাউরুটি চাঁদের কফিতে
তোর চোখে একাকার হয়ে থাক।
****
ন্যাটোর গ্যালারি
হিরোশিমা নাগাসাকির ক্যানভাসে ভিয়েতনাম বাগদাদ দেখা
বিশ্ব ভাবতেই পারে ন্যাটোর গ্যালারিতে
লাদেনের জঙ্গি সার্টিফিকেট আঁকা।
বুশ বলতেই পারে ‘এখানে কোন শালায়’
লাদেন বলবেই ‘আমি ’
ততক্ষণে বিশ্ব আবারও নুন-পান্তার কান্নায়
ধর্ষিতা গেরিলা দল শান্তির এন্টার্কটিকা ছিন্ন করে
আরেক যুদ্ধে ঝাঁপায়।