নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষের কবি ছিলেন। তার কাছে জাতি, ধর্মের ঊর্ধ্বে মানুষের পরিচয়ই ছিলো বেশি। তার হাত ধরে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি বিশ্ব দরবারে সম্মানজনক অবস্থান লাভ করেছে বলে আমরা গর্ববোধ করি’।
আজ পঁচিশে বৈশাখ সোমবার (০৮ মে) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নওগাঁর পতিসরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আজ যখন বিশ্বের সর্বস্তরের উগ্র মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তখন রবীন্দ্র চর্চা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশের মাটিতে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বীজ বপন করেছিলেন। তিনি নিজে মানবতাবাদী ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের একজন দিকপাল ও উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার স্মৃতিসম্ভার যেমন বিশাল তেমিন আপন মহিমায় তা বর্ণাঢ্য। কবির মানসপটে ছিল শিল্পের পরিশীলতা, আবহ প্রকৃতি, প্রেম আধ্যাতিকতা এবং তাতে সম্মিলন ঘটে বিশ্ব সভ্যতা দর্শন ও বিজ্ঞান। তিনি একাধারে কবি, সঙ্গীতঙ্গ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক। তিনি কেবল কালের কবি নয়, সর্বকালের কবি।
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা তো তারই সৃষ্টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘স্বদেশপ্রেম, মানবতাবোধ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠায় তার লেখা প্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে।’