নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান খুনের ঘটনায় যুবলীগের দুই নেতাসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় নিহতের বড় ভাই আবু আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- সদর থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজীব দত্ত (৩৫) ও পৌর যুবলীগ ১০নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শান্ত (৩৬)। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে মামলার বাদী আবু আলী জানান, আমার ভাই আব্দুল মান্নানের খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত যুবলীগ নেতা সজীব দত্ত ও শান্ত। আমি তাদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান হত্যা মামলা থানায় জমা হয়েছে নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে দাবি করে ওসি বলেন, এর আগে জড়িত সন্দেহে দু’জন আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিব দত্তের সঙ্গে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নানের টেন্ডার ও টোল আদায় নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। কয়েকদিন আগে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মাঝে হাতাহাতি হয়। এ সময় মান্নানকে যুবলীগ নেতা সজিব দত্ত দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরবর্তীতে সজিব দত্তের বড় ভাই জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্তকে বিষয়টি অবহিত করে সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আব্দুল মান্নান। তিনি তার ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলে ও মান্নানকে শাসিয়ে সাবধান করে দেন বলে ওই সময় উপস্থিত অনেকে বলেছেন।
ওই ঘটনার জের ধরে যুবলীগ নেতা সজিব দত্ত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় আব্দুল মান্নানকে শহরের মুন্সিরহাট এলাকায় দেখতে পেলে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র গিয়ে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে মান্নান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় আব্দুল মান্নানকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে এলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুম্মনকে সজিব দত্ত ছুরিকাঘাত করে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয় লোকজন আব্দুল মান্নান ও জুম্মনকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে আনার পথে মান্নান অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে পথিমধ্যে মারা যান। আর জুম্মনকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর