লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
বাড়ির মেঝেতে অনেকেই কার্পেট ও ম্যাট ব্যবহার করেন। আর এ কার্পেট ভালো রাখার বিষয়টি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সঠিকভাবে যত্ন করা না হলে কার্পেট হতে পারে নানা রোগ-জীবাণুর আধার। কার্পেট ভালো রাখার জন্য তাই সর্বদা কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত।
১. পরিষ্কার রাখুন:স্বাস্থ্যকর বাড়ির জন্য কার্পেট নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। এজন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে প্রতি সপ্তাহে একবার করে পরিষ্কার করে নেওয়া। তবে আপনার যদি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার না থাকে তাহলে ব্রাশ দিয়েও পরিষ্কার করতে পারেন। এক্ষেত্রে একটু বেশি সময় নিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
২. আর্দ্রতা সাবধান:কার্পেটের নিচে যদি পানি লেগে আর্দ্র হয়ে যায় তাহলে তা রোগজীবাণুর আখড়া হতে পারে। এ কারণে স্যাঁতসেঁতে স্থানে কার্পেট পাতবেন না। আর যদি পাততেই হয় তাহলে তা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে এবং রোদে শুকাতে হবে।
৩. মাসে একবার পরিচর্যা:কার্পেটের নিচের দিকে এমন কিছু ভারি ময়লা জমতে পারে যা স্বাভাবিকভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। এ কারণে মাসে একবার করে কার্পেট তুলে উল্টো করে ঝেড়ে ভেতরের বাড়তি ময়লাগুলো পরিষ্কার করা উচিত। এছাড়া জুতার ময়লা থেকে বাড়ির কার্পেট বাঁচাতে এর ওপর জুতা পরে চলাচল বন্ধ করতে পারেন।
৪. দাগমুক্ত রাখুন:সুন্দর কার্পেটে সামান্য দাগই আপনার কক্ষের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে। আর এ কারণে দাগমুক্ত রাখতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন। কোনো খাবার পড়ে গেলে বা ময়লা লাগলে তা সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করুন। কার্পেটের দাগ তুলতে সাদা ভিনেগার ও বেকিং সোডা পানি দিয়ে পেস্ট করে দাগের ওপর ব্রাশ দিয়ে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ভ্যাকুয়াম ব্যবহার করে পরিষ্কার করে নিন।
৫. পেশাদারদের সহায়তা নিন:কার্পেটকে নতুনের মতো রাখতে চাইলে পেশাদারদের সহায়তা নিন। এজন্য বছরে একবার করে ড্রাই ক্লিন করুন। এছাড়া কার্পেট কয়েক বছর পর পর পেশাদারদের সহায়তায় নতুন করে রং করে নিতে পারেন।
৬. আসবাব সাবধান:কার্পেটের ওপর চেয়ার-টেবিল ইত্যাদি আসবাব থাকলে অনেক ক্ষেত্রে দাগ পড়ে ও ক্ষয় হয়। তাই কার্পেটের ওপর আসবাব রাখার আগে কয়েক পাল্লা খবরের কাগজ রাখুন। এছাড়া কোনোভাবে ভারি জিনিসের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেই গর্ত বা দাগের জায়গায় এক টুকরো বরফ রেখে দিন। এরপর হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে পানি শুকিয়ে নিলেই তা ঠিক হয়ে যাবে।
৭. স্প্রে করুন:কার্পেট পরিষ্কার করার পর তাতে ফ্রেশ ভাব আনার জন্য সুগন্ধী স্প্রে করুন। বাজারে একটু খোঁজ করলেই এ ধরনের স্প্রে পাবেন। প্রতি সপ্তাহে দুইবার করে স্প্রে করলেই হবে। বেকিং সোডার সঙ্গে বোরাক্স মিশিয়ে আপনি নিজেও এ ধরনের স্প্রে বানাতে পারবেন।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ