আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধের শিকার হয়ে ৭০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে এমন দাবি করা হয়। ওই বৈঠকে জাতিসংঘের মানবিক ও জরুরি ত্রাণবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি স্টিফেন ও’ব্রায়েন বলেন, ইয়েমেনে যুদ্ধরত গোষ্ঠী ও তাদের সহায়তাকারীদের উচিত নিজেদের অপরাধী মনে করা। তাদের কারণে ইয়েমেনের লাখ লাখ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। সেখানকার ৭০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে। ও’ব্রায়েন জানান, কলেরায় আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে ইয়েমেনের বিভিন্ন জায়গায় এক হাজার ৭৪০ মানুষ মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির জন্য ২১০ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্যের আবেদন করা হয়েছে। অথচ এর মাত্র ৩৩ শতাংশ তহবিলে যোগ হয়েছে। আর মহামারী আকার ধারণ করা কলেরা নিয়ন্ত্রণে দরকার ২৫ কোটি মার্কিন ডলার। অথচ পাওয়া গেছে মাত্র চার কোটি সাত লাখ মার্কিন ডলার। জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই কলেরা সম্পূর্ণরূপে সেখানকার যুধ্যমান পক্ষগুলোর সৃষ্টি, যারা ইয়েমেনের সীমান্ত থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, অস্ত্র সরবরাহ ও যুদ্ধ করছে এবং এই যুদ্ধ ও আতঙ্ককে স্থায়ী করতে চাইছে।’ একই বৈঠকে ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইসমাইল ওলদ শেখ আহমেদ বলেন, ‘কোনো অজুহাতই গ্রহণযোগ্য নয়, বিশেষ করে যখন সামনে স্পষ্ট সমাধানের পথ খোলা থাকে। শান্তি আলোচনার পথ এখনো রুদ্ধ হয়ে যায়নি।’ রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ইসমাইল বলেন, ‘এ যুদ্ধাবস্থা চলতে থাকলে কেবল মানবিক ও অবকাঠমোগত ক্ষতিই হবে।’
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

