নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাদারীপুর সদর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদের অপসারণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী মোল্লার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান গ্রুপের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। জানা গেছে, এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাদারীপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য আফম বাহাউদ্দিন নাছিমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ। অপর দিকে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের চাচাতো ভাই ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খানের কুকরাইল এলাকার বাসা ভাংচুর করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন। প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় ও পুলিশ জানান, সকাল ১১টার দিকে আফম বাহাউদ্দিন নাছিম গ্রুপের জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে সদর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদের অপসারণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী মোল্লার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শহরের ইটেরপুল এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শেষ হয়। সেখানে মানববন্ধন শেষে সমাবেশে করে নেতা-কর্মীরা। এতে অতর্কিত হামলা চালায় নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান গ্রুপের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনাটি মুহুর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়লে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিরাজমান দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এতে রাস্তা ও বেশ কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধরা। এতে অন্তত দু’গ্রুপের ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে বেশ কয়েকটি টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী থেমে থেমে সংঘর্ষে ইটেরপোল, জজ কোর্ট চত্ত্বর, নতুন শহর এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র ও আফম বাহাউদ্দিন নাছিমের ছোট ভাই খালিদ হোসেন ইয়াদ জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘মাতৃভূমি’ হোটেলও ভাংচুর করে। পুলিশ তখন নিরব ভুমিকায় ছিল। যা অত্যন্ত লজ্জাকর। আমরা এই ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন জানান, দুই জন হেবিওয়েট নেতার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব হওয়ায় আমরা কঠোর অবস্থানে যেতে পারছি না। তবুও দুই গ্রুপের লোকজনকে নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
দৈনিক দেশজনতা/ আই সি