নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকায় শুরু হলো দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ পাওয়ার সামিট-২০১৭। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমরা এমন প্রযুক্তি ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করতে চাই যাতে পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষিত থাকে। এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম এমপি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী আরও বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি ইউনেসকো তাদের আপত্তি তুলে নিয়েছে। ২১ দেশের মধ্যে ১২টি সমর্থন জানিয়েছে। তুরস্ক বিষয়টি আমাদের হয়ে উপস্থাপন করেছে ও সমর্থন দিয়েছে। ২০১৯ সালের শেষে রামপাল থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
এ সময় মো. তাজুল ইসলাম এমপি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ভবিষ্যতে সারাদেশের চাহিদা পূরণ করে দেশকে বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে এ অনুষ্ঠানের উপস্থিত সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ পাওয়ার সামিটে প্রথম দিনে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, ইরান, জাপানসহ ২০টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা এই খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তাদের মধ্যে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, মেশিনারিজ সরবরাহকারী ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের অনুষ্ঠান সরকার ও দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়াবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ