শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিবেদক:
যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে শাহজাদপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে । যমুনা নদীতে তিন সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে অবিরাম বর্ষনে বন্যার পানি শাহজাদপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। বিশেষ করে যমুনা তীরবর্তী গালা ইউনিয়নের গালা,ভেড়াকোলা,চিথুলিয়া,বন্যা,কাশিপুর,বেনুটিয়া কৈজুরী ইউনিয়নের জগতলা,পাঁচিল,গুধিবাড়ী,ঠুটিয়া,জয়পুরা, পোরজনা ইউনিয়নের নন্দলালপুর,বচাড়া,জিগারবাড়িয়া, চরপোরজনা,বাশুড়িয়া,রানীকোলা,কাদাই রুপবাটি ইউনিয়নের আহাম্মদপুর,মোয়াকোলা,শেলাচাপড়ি, করশালিকা, আন্দারমানিক,সদামাড়া হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের ডায়া,নগরডালা,রতনকান্দী, চরনারুয়া,ফরিদপাঙ্গাসী,হাসাকোলা,শ্রীফলতলা পোতাজিয়া ইউনিয়নের বড়বায়ড়া,ছোটবায়ড়া,রাউতারা,মাদলা, পোতাজিয়া,রেশমবাড়ী,ভাইমারা, কায়েমপুর ইউনিয়নের বৃ আঙ্গারু,চর আঙ্গারু,সরাতৈল,ব্রজবালা,চিনাধুকুরিয়া, গাড়াদহ ইউনিয়নের বারই টেপড়ি, চরনবীপুর, গাড়াদহ, নরিনা ইউনিয়নের জয়রামপুর,চরনরিনা,বাতিয়া,চরবাতিয়া গ্রামের অধিকাংশ জায়গায় বন্যার পানি প্রবেশ করে ঘর বাড়ী ডুবিয়ে দিয়েছে। এসব এলাকার মানুষ পরিবার পরিজন,গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছে। নলকূপ ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানি সঙ্কট প্রবল আকার ধারন করেছে। দিনমজুর ও শ্রমজীবি মানুষ কাজ কর্ম না থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছে। এতে মারাকত্মক অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অনেকেই ঠিকমত খাবার জোগাতে পারছেনা। ঘর-বাড়ী পানিতে ডুবে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে কেউ ঘরের মধ্যে কেউ বিভিন্ন উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
অপরদিকে শাহজাদপুর উপজেলার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাইমারী স্কুল,কিন্ডারগার্টেন,মাদ্রাসা ও কলেজ ডুবে যাওয়ায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রাস্তাÑঘাটের পাশাপাশি হাট-বাজার,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডুবে যাওয়ায় মানুষের দূর্ভোগের যেন কমতি নেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, উজানে বৃষ্টি হওয়ায় পানি বেড়েছে। পাউবোর সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে ।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর