নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলায় চার্জগঠন শুনানির জন্য ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলার চার্জগঠনের বিষয়ে সোমবার শুনানির দিন ধার্য ছিল। অসুস্থতার কারণে বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে না পারায় তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজিরা দেন। অন্যদিকে দুই আসামির পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন বিচারাধীন থাকায় চার্জ শুনানি পেছানোর জন্য সময় আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ হোসনে আরা বেগম সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির নতুন তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন।
মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। কিন্তু জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১১ জন।
১১ আসামির মধ্যে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ছাড়া অন্য আসামিরা জামিনে আছেন।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ওই বছরের ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ করা হয় মামলাটিতে।
দৈনিক দেশজনতা/এমএম