নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) অধীন নির্মিত মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের মাঝপথে ফ্লাইওভারে ওঠার সব সিঁড়ি অপসারণে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে ফ্লাইওভারটি থেকে সব সিঁড়ি অপসারণ করতেই হচ্ছে।
ওরিয়ন গ্রুপ কর্তৃপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ সোমবার এই আদেশ দেয়।
আদালতে ওরিয়ন গ্রুপের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।
মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ফ্লাইওভারে উঠার জন্য ছয় থেকে সাতটি সিঁড়ি ও বাসস্টপেজ রয়েছে। এসব বাসস্টপেজে বাস ও লেগুনায় যাত্রী ওঠানামা করে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া বাসসহ যাত্রী পরিবহনকারী ছোট-বড় বিভিন্ন যান এসব স্টপেজে থামার কারণে প্রায়ই যানজট থাকে। অন্যান্য ফ্লাইওভারে সিঁড়ি ও বাসস্টপেজ নেই। এসব যুক্তি তুলে ধরে ফ্লাইওভারে বাসস্টপেজ ও সিঁড়ি অপসারণ চেয়ে রিট করা হয়।
এর আগে গত ৩১ মে দুই সপ্তাহের মধ্যে সিঁড়ি অপসারণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। সড়ক ও সেতু সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
গত ২৮ মে এশিয়ান এইজ পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত সিঁড়ি অপসারণের নির্দেশ দেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠার জন্য এসব সিঁড়ি ও বাসস্টপেজ অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন ব্যারিস্টার সাইফুল ইসলাম উজ্জল।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ