অনলাইন ডেস্ক:
তুর্কি সরকারের গোপন তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে দেশটির প্রধান বিরোধী দল-সিপিপির একজন এমপিকে গ্রেপ্তারের পর ফুসেঁ উঠেছে বিরোধীরা। bএরই অংশ হিসেবে ‘ন্যায়বিচার’ শীর্ষক বিক্ষোভের ডাক দেয় প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা কামাল কিলিসদারোগলু। খবর বিবিসি ও নিউইয়র্ক টাইমসের।
রাজধানী আঙ্কারা থেকে গত ১৫ জুন শুরু হওয়া ‘ন্যায়বিচার’ শীর্ষক এ বিক্ষোভ মিছিলে কয়েক হাজার নেতাকর্মী যোগদান করে। বিক্ষোভ মিছিলটি আঙ্কারা থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার (২৮০ মাইল)পথ পাড়ি দিয়ে ইস্তাম্বুলে পৌঁছলে সেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মী তাদের স্বাগত জানায়।
চার বছর আগে গাজী পার্কের আন্দোলনের পর প্রেসিডেন্ট এরদোগানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ বলে ধারণা করা হচ্ছে এটিকে।
জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত এমপি এনিস বেরবেরোগলু এই মর্মে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে তথ্য দেন যে-সিরিয়ার জিহাদী গোষ্ঠীকে অস্ত্র সরবরাহ করছে তুরস্ক সরকার। অবশ্য বেরবেরোগলু তার প্রতি আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সর্বশেষ জানা যাচ্ছে, বিশাল বিক্ষোভ শেষে রবিবার কয়েক হাজার নেতাকর্মী ইস্তাম্বুলে কারাগারের কাছাকাছি জমায়েত হয়ে ওই এমপির মুক্তি দাবি করেছেন।অন্যথা এরদোগান সরকারকে কঠোর মাসুল দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরোধীরা গত বছর ব্যর্থ অভ্যুত্থানের ফলে গণ পদচ্যুতি ও কারাবাসের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বিক্ষোভকারীদেরকে সন্ত্রাসবাদের সমর্থনকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
এরদোগান বলেন, ‘এই বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়া রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিপিএইচ) রাজনৈতিকভাবে বিরোধীপক্ষের অবস্থান হারিয়েছে এবং তারা এখন সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে কাজ করছে এবং দেশের বিরুদ্ধে তাদেরকে ক্ষেপিয়ে তুলছে।’
অন্যদিকে এ আন্দোলনের সংগঠক কামাল কিলিসদারোগলু বলেন,এ বিক্ষোভ মিছিল একনায়কতন্ত্র শাসনের বিরুদ্ধে কিন্তু গত বছরের অভ্যুত্থানের সমর্থনে এ গণজমায়েত নয়। সিপিপি নেতা কামাল কিলিসদারোগলু সমাবেশটি ‘নতুন সূচনা’ হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি জনসাধারণকে বলেন, ‘কেউ যাতে মনে না করে এ বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ, এটা মাত্র প্রথম ধাপ!’
প্রসঙ্গত, গত বছর সামরিক হস্তক্ষেপের চেষ্টার পর থেকে ৫০ হাজারেও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তখন জরুরি অবস্থার সময় ১ লাখ ৪০ হাজার লোককে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অপসারণ করা হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এমএম