২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:৩৭

বাজারে ওয়ালটনের সর্বাধিক মডেলের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস

নিজস্ব প্রতিবেদক :

মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সবকিছু দখল করে নিচ্ছে প্রযুক্তি। ঘরের কাজ সহজ করতে বিশ্বময় চলছে প্রযুক্তির জয়জয়কার। তার ছোঁয়া এসে লেগেছে বাংলাদেশিদের আটপৌরে জীবনেও। আর তাই ঘরগৃহস্থালীর কাজ সহজ ও নির্ঝঞ্ঝাট করতে বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন নিয়ে এসেছে ৪০ ধরনের প্রায় ২০০ মডেলের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস বা গৃহস্থালী পণ্য।

জানা গেছে, সারা বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের চাহিদা। সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চ গুণগতমানের সর্বাধিক মডেলের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস বাজারে আনায় গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন। গত বছরের রোজার তুলনায় এ বছর রোজায় প্রতিষ্ঠানটির হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের বিক্রি বেড়েছে ২৫ শতাংশের বেশি।

ওয়ালটন সূত্র জানায়, স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের রয়েছে ৪০টিরও বেশি ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস। যেখানে রং, বৈচিত্র্য, ডিজাইন এবং আকারভেদে রয়েছে প্রায় ২০০ মডেল। ইলেকট্রনিক্স অ্যাপ্লায়েন্সেসের মধ্যে রয়েছে- এয়ার কুলার, ওয়াশিং মেশিন, ব্লেন্ডার ও জুসার, ফুড প্রসেসর, মিক্সার ও বিটার, আয়রন, ইলেকট্রিক রাইস কুকার, ইলেকট্রিক ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন, গ্যাস স্টোভ, ইনডাকশন কুকার, ইলেকট্রিক মাল্টি কুকার, প্রেসার কুকার, এয়ার ফ্রায়ার, রুটি মেকার, টোস্টার, কেক ও স্যান্ডউইচ মেকার, ভ্যাকুয়াম ফ্লাক্স, ইলেকট্রিক কেটলি, ওয়াটার পিউরিফায়ার ও ডিসপেন্সার, ক্লথ ড্রায়ার, হেয়ার ড্রায়ার ও স্ট্রেইটনার, কিচেন কুকওয়্যার, রিচার্জেবল ল্যাম্প ও টর্চ, ইলেকট্রিক লাঞ্চ বক্স, কফি মেকার, রুম হিটার, ওয়াটার হিটার, ঘর মোছার মপ সেট, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ও আইপিএস, সেলাই মেশিন এবং ওয়েট মেশিন।

প্রোডাক্ট লাইনে নতুন মডেল এসেছে ওয়াশিং মেশিন, আয়রন ও প্রেসার কুকারের। বিশেষ করে, ১২ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের সেমি অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিন ক্রেতাদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এ ছাড়া, দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেব ওয়ালটনই সর্বপ্রথম স্থানীয় বাজারে নিয়ে এসেছে স্ট্যান্ড স্টিম আয়রন। সুদৃশ্য ডিজাইনের মাল্টি-ফাংশনাল এই আয়রন বিদেশি ব্র্যান্ডের চেয়ে দামেও অনেক সাশ্রয়ী। পাশাপাশি, নতুন মডেল এসেছে ইলেকট্রিক প্রেসার কুকার ও ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের।

ওয়ালটনের ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের মধ্যে রয়েছে সিলিং- ওয়াল-টেবিল ও রিচার্জেবল ফ্যান, ইলেকট্রিক সুইচ-সকেট, ডাটা ক্যাবল, মাল্টি সকেট, এসিড লেড রিচার্জেবল ব্যাটারিসহ অনেক রকমের সুইচ-সকেট ও ক্যাবলস।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনে ইন্টারন্যাশনাল ইলেক্ট্রোটেকনিক্যাল কমিশন (আইআইসি) এবং জাপানিজ ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে তৈরি হচ্ছে বেশকিছু ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস। ওয়ালটনের এসব পণ্য মানের দিক থেকে অনেক উন্নত। বৈচিত্র্যময় ডিজাইন এবং দামেও সাশ্রয়ী। ফলে, বাজারে ছাড়ার অল্প দিনের মধ্যেই এসব পণ্য গ্রাহকদের মন জয় করে নিয়েছে।

ওয়ালটনের স্মল অ্যাপ্লায়েন্সেসের প্রোডাক্ট ম্যানেজার মাশরুর হাসান জানান, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস বিক্রি হয়েছে ওয়ালটনের। তবে, এবারের রোজায় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের বিক্রি বেড়েছে ব্যাপক। আসন্ন কোরবানির ঈদেও বিক্রির এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ওয়ালটন। কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে। তার প্রত্যাশা- কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের বিক্রি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হবে।

ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্স বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এ বছর গরম তুলনামূলক বেশি থাকায় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এয়ার কুলার, সিলিং ফ্যান, দেয়াল ফ্যান, টেবিল ও রিচার্জেবল ফ্যানের চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে আশাতীত। রোজায় ওয়ালটন ব্লেন্ডার ও জুসারের চাহিদা ছিল অনেক। এদিকে রোজার শেষদিক থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে ওয়াশিং মেশিন ও ক্লথ ড্রায়ারের বিক্রিতে দেখা যাচ্ছে আশানুরুপ প্রবৃদ্ধি। বিশেষ করে, বৃষ্টিতে কাপড় শুকানোর বিড়ম্বনা এড়াতে সকল শ্রেণি-পেশার গ্রাহক বেছে নিচ্ছেন ওয়ালটনের ক্লথ ড্রায়ার।

শহরাঞ্চলে চাহিদা বেড়েছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের রাইস কুকার, কেক মেকার, স্যান্ডউইচ মেকার, ডোনাট মেকার, মপ সেটসহ অন্যান্য হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের। সবমিলিয়ে, চলতি বছর গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস।

উল্লেখ্য, দেশের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স খাতে একমাত্র ওয়ালটনেরই রয়েছে আইএসও স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে সারা দেশে ৬৭টি সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে। আরো পাঁচটি জেলা শহরে নতুন সার্ভিস সেন্টার চালু হচ্ছে। এর বাইরে ৩০০টিরও বেশি সার্ভিস পয়েন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন। যেখানে কাজ করছেন আড়াই হাজার প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :জুলাই ৯, ২০১৭ ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ