অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশে গুম ও গোপন আটক নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)-এর রিপোর্টকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। এর জবাবে এইচআরডব্লিউ বলছে, গুম ও গোপন আটকের ঘটনার তদন্তের পরিবর্তে বাংলাদেশ সরকার এসব ঘটনার রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে।
৫ জুলাই বাংলাদেশে গুম, গোপন আটক ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে এইচআরডব্লিউ রিপোর্ট প্রকাশ করে। এরপর বাংলাদেশ সরকার যে জবাব দিয়েছে তার পাল্টা জবাবে এসব কথা বলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
‘নো, বাংলাদেশ, দ্য ট্রুথ ইজ নট এ ‘স্মেয়ার ক্যাম্পেইন’ শীর্ষক রিপোর্টে এসব কথা বলেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলি।
বাংলাদেশ সরকারের দেয়া জবাবের প্রতিউত্তরে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে গোপন আটক ও গুম নিয়ে ৮২ পৃষ্ঠার রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ রিপোর্টকে ‘স্মেয়ার ক্যাম্পেইন’ বা মিথ্যা প্রচারণা বলে দাবি করেছেন। যেসব পরিবার তাদের নিখোঁজ স্বজনের সন্ধান বা সে বিষয়ে উত্তর পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে আছেন তা কঠিনভাবে উপেক্ষা করে তিনি স্থানীয় মিডিয়াকে বলেছেন, কাকে আপনি গুম বলবেন? অনেক ব্যবসায়ী তাদের ঋণ ফাঁকি দিতে আত্মগোপন করেছেন। অনেক মানুষ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের পরে নিখোঁজ রয়েছেন।
মিনাক্ষী গাঙ্গুলি লিখেছেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সেই মানুষকে নিখোঁজ ব্যক্তি (ডিজঅ্যপেয়ার্ড পারসন) বলা হয় যাকে রাষ্ট্রের কোনো এজেন্ট আটকে রাখে অথবা সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে, স্বাধীনতা বঞ্চিত করে তাকে রাখা হয় অথবা তিনি কোথায় আছেন তা জানা যায় না। এমন অবস্থায় তাকে এমন স্থানে আটকে রাখা হয় যেখানে তাকে আইন দিয়ে সুরক্ষা দেয়া হয় না।
দৈনিক দেশজনতা/এমএম