নিজস্ব প্রতিবেদক:
দীর্ঘদিন অস্থিরতার পর রাজধানীর চিনি ও ব্রয়লার মুরগির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি কেজিতে প্রায় ২০ টাকা ও চিনির দাম ৮ টাকা কমেছে। এ ছাড়া কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। শনিবার রাজধানীর রামপুরা ও মেরাদিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা থেকে কমে ৬২ থেকে ৬৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭০ টাকা থেকে কমে প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের সবজির দর গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। দুই একটি সবজি ছাড়া বাকি সবগুলোই ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দামে পাওয়া যাচ্ছে। এরমধ্যে পটল ২ টাকা কমে ২৮ টাকা, ঢেঁড়শ ৫ টাকা কমে ২৫ টাকা, কাকরোল ৫ টাকা কমে ৩০ টাকা, শশা ৫ টাকা কমে ২৫ টাকা, কচুমুখী ২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ২৫ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাকি সব সবজিই ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এ ছাড়া দেশি রসুন ১০০ টাকা। আর আমদানি করা রসুনের দাম কিছুটা কমে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালোমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকায়।
তবে রাজধানীতে এখনো মাছের বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। মাঝারি আকারের (৬০০ গ্রাম) ইলিশের জোড়া ৯০০ টাকা, রুই মাছের কেজি ৩০০ টাকা, কাতল ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, সিলভার কাপ জাতীয় মাছ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, টেংরা মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০, রূপচাঁদা ৬০০, চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৭০০ এবং পাবদা ৩৫০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গরুর মাংসের দাম ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।
রামপুরা বাজারে বাজার করতে আসা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ভোগান্তির পর বাজারে চিনির দাম কমেছে। একই সঙ্গে ব্রয়লার মুরগিরও দাম কমেছে। ঈদের আগে ৭০ থেকে ৭২ টাকায় চিনি কিনলেও এখন তা ৬২ থেকে ৬৩ টাকায় পাচ্ছি। সরকারের কাছে দাবি জানাই চালের দামও যোক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনা হোক।’
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ