অনলাইন ডেস্ক:
যৌথ প্রযোজনার ছবি নিয়ে মুখ খুললেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। চর দখলের স্টাইলে চলছে সিনেমা হল দখল চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসময় দেশীয় ছবি ‘রাজনীতি’ দেখার জন্য দর্শকেদের আহ্বান জানিয়ে যৌথ প্রযোজনার প্রতারণা নিয়ে বিষেদাগার করেন আসিফ।
বৃহস্পতিবার এ নিয়ে আসিফ তার ফ্যান পেজে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল।
আসিফ লিখেন, চর দখলের স্টাইলে চলছে সিনেমা হল দখল। অল্প কিছু হল এখনো জীবিত আছে, সেগুলো দখল করে চলছে যৌথ প্রতারণার অবৈধ ছবি। হিন্দি ছবি সারফারোস,বাজি আর বাদশাহ ছবিগুলোর ককটেল সংস্করণ নবাব, পোস্টারের ছবিটিও তেলেগু কপি। বস-২ পুরোটাই বসগিরি করেই চালানো হয়েছে।
বাংলাদেশে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওপারের মাড়োয়ারীদের সঙ্গে সমঝোতা করে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে বানিয়েছে পলাশীর প্রান্তর। তাদের কাস্টিং টেকনিক্যাল সাপোর্ট, অর্থ বিনিয়োগ এবং প্রভাব প্রতিপত্তির লাগামহীন আগ্রাসন চলছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। যৌথ প্রযোজনার নীতিমালাকে পদদলিত করে এদেশে শুরু হয়েছে মাড়োয়ারী (পুরনো সুদ ব্যবসায়ী মাউরা) ব্যবসা, সেই সঙ্গে হুন্ডির চালানে চলছে টাকা পাচার।
তিনি আরো লিখেন, ঢাকাই ছবিতে প্রভাব বেড়েছে ক্যালকেশিয়ান উচ্চারণের, দেখার লোক হঠাৎ অন্ধ, শোনার লোক বধির। জায়েজ করার চেষ্টায় দুই একজন দেশি সঙ্গীত শিল্পী গেটিস হিসেবে গাইছে যৌথ প্রতারনার ছবিতে।
বাংলাদেশের হাজারো শিল্পী গীতিকার সঙ্গীত পরিচালকদের যোগ্যতা নেই যৌথ প্রতারণার ছবিতে কাজ করার, অবশ্য এ পরিস্থিতি তারা নিজেরাই সৃষ্টি করেছে চামচামির মাধ্যমে। মাড়োয়ারী অর্থায়নে এখনকার কিছু গুণীরা বিক্রি হয়ে গেছেন আরো আগেই। নিজের স্বার্থের জন্য দেশের স্বার্থ বিক্রি করতে সিদ্ধহস্ত এ জাতির পুরনো প্রেতাত্মার উত্তরসূরি তারা। ঐ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পদলেহন কারীরাই ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত করে এ জাতিকে পুড়িয়েছিলো গোলামীর জিঞ্জির ।
আসিফ আরো বলেন, আমার এসব কথা ভালো লাগবে না জানি, তারপরও মীরমদন, মোহন লাল আর ক্ষুদিরামের মত স্বাধীন চেতাদের চরিত্র কখনো বদলায় না, আমিতো নরমাল আসিফ, তবে অকাল প্রয়াত প্রিয় নায়ক মান্না ভাইকে মিস করছি কমরেড হিসেবে।
শাকিব বাংলাদেশের সেরা হিরো এই মুহূর্তে, যারা অস্বীকার করবে তাদের জন্য উপহার ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ঘোলা শরবত (পা’চাটা আঁতেল বাদে)। মাড়োয়ারীরা ব্রিটিশদের মত খেলছে- ‘DIVIDE N RULE’ গেম, সঙ্গে আছে দেশীয় দালাল প্রোডাকশন হাঊসটি। এই বিভক্তির খেলায় জয়ী হবে মাড়োয়ারীরাই।
বাংলা ছবির অস্তিত্তের জন্যই এই ব্যাপারটি শাকিবকেও বুঝতে হবে, আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারকেও বুঝতে হবে। আসুন নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি না করে দেশীয় ছবিতে মেধা খাটাই। নীতিমালা অনুযায়ী চলুক সিনেমা শিল্প। মাড়োয়ারী আর লোকাল এজেন্টদের রাজনীতির ছোবল থেকে বাঁচাই আমাদের সাকিব-অপুর রাজনীতি ছবিটি। চলুন সবাই হলে গিয়ে দেখি আমাদের আসল ওরষজাত ছবি-রাজনীতি।
দৈনিক দেশজনতা/এমএম