নিজস্ব প্রতিবেদক:
ময়মনসিংহে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়েছে মহানগর যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান রনির (৩৩) নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শহরের কলেজ রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেওয়া ওই আসামি অপু। পরে রনির অনুসারিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মামলার বাদীকে তুলে নিতে ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। পুলিশ বাধা দিলে তারা ফাঁড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ফাঁড়ি ইনচার্জ ফারুক হোসেনসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শান্ত নামে একজনকে আটক করেছে।প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শহরের গোলাপজান রোডে একটি বাড়ি পোড়ানোর মামলার বাদী হজরত আলী বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কলেজ রোড এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন। এ সময় অপু ও রণির নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে হজরত আলীর মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে ২নং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে বাড়ি পোড়ানো মামলার আসামি অপুকে আটক করে ও মামলার বাদী হজরত আলীকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে যুবলীগ নেতা রনি পাঁচটি মোটরসাইকেলে তার লোকজন নিয়ে এসে পুলিশে গতিরোধ করে অপুকে ছিনিয়ে নেয়।
এরপর পুলিশ ওই বাদীকে নিয়ে ফাঁড়িতে ফিরলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মহানগর যুবলীগ নেতা মরিুজ্জামান রনির নেতৃত্বে ১০/১৫ জন ফাঁড়িতে সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায়। এ সময় তারা পুলিশ ফাঁড়ির চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর করে মামলার বাদীকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। হামলায় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ফারুক হোসেনসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় কলেজ রোড়, গোলাপজান রোডসহ আশপাশের এলাকায় গ্রেফতার ও হামলা আতঙ্কে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ২নং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক হোসেন জানান, মহানগর যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান রনির নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা ফাঁড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম জানান, বাদীকে মারধর ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই, এরপর ফাঁড়িতে এসে পুলিশের ওপর সশস্ত্র হামলা ও ভাংচুরকারীদের ছাড় দেয়া হবে না। যেকোনো মূল্যে তাদের গ্রেফতার করা হবে। ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ