দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক:
সুন্দরবন ধ্বংসে নিজের উন্মাদনা বাস্তবায়ন করতে, সরকারের পক্ষ থেকে দেশের মানুষের টাকা খরচ করে, ইউনেস্কোতে বহু লবিং হয়েছে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এবারে তারা সফল। বলেছে ইউনেস্কো রামপাল প্রকল্পসম্পর্কে আপত্তি প্রত্যাহার করেছে।
এর আগে ইউনেস্কোর বিশেষজ্ঞদের ব্যাপক অনুসন্ধান এবং বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ থেকেই তাদের সিদ্ধান্ত ছিলো এই প্রকল্প অন্যত্র সরিয়ে নেবার কোনো বিকল্প নেই। তাঁদের বিস্তারিত ব্যাখ্যা ছিলো কীভাবে এই প্রকল্প সুন্দরবন বিনাশ করবে। একইরকম ব্যাখ্যা, হাতেগোণা কতিপয় ভাড়াখাটা ব্যক্তি ছাড়া, দেশ বিদেশের সকল বিশেষজ্ঞই দিয়েছেন। আজ যদি ইউনেস্কো তার এই অবস্থান থেকে সরে আসে তাহলে তার অর্থ হবে একটাই- ইউনেস্কোর বৈজ্ঞানিক অবস্থান গোষ্ঠী স্বার্থের লবিংএর কাছে কোনো না কোনো কারণে আত্মসমর্পণ করেছে।
বাংলাদেশ ও বিশ্বের একটি বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে ইউনেস্কো তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এটা ঠিক যে, সুন্দরবন বিনাশ হলে এইদেশ ও এইদেশের মানুষের সর্বনাশ, ইউনেস্কোর কর্মকর্তাদের তাতে কী আসে যায়? তাই এই প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তারা সন্দেহজনক কারণে আপত্তি প্রত্যাহার করতে পারে, বাংলাদেশের মানুষ পারে না।
নদী-নালা পাহাড় বিনাশেও পুরো তৃপ্তি হয় না, দেশের প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ প্রধান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুন্দরবন না খাওয়া পর্যন্ত কোনো শান্তি নেই সরকারের। ভুতের পা থাকে উল্টো দিকে। সেজন্য সে যতো জোরে হাঁটে ততোই পেছন দিকে যায়। তারপরও তার খুশিতে আটখানা ভাব দেখা যায়।
কিন্তু মানুষকে তো সামনের দিকেই হাঁটতে হবে। মানুষের বাঁচার পথ মানুষের মধ্যেই। আগামী ১১ জুলাই তাই সুন্দরবনবিনাশী প্রকল্প বাতিলের দাবিতে এবং গ্যাস-বিদ্যুৎ নিয়ে মহাদুর্নীতির প্রতিবাদে দেশব্যাপী সমাবেশ।
লেখাটি জাতীয় তেল গ্যাস ও বন্দর রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এর ফেসবুক থেকে নেয়া।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ