আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তুরস্ক কাতারে অবস্থিত তাদের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করবে না কিন্তু কেবলমাত্র তখনই বন্ধ করবে যখন দোহা তুরস্ককে অনুরোধ করবে। অন্যথায় সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করার প্রশ্নই আসে না। ৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট এরদোগান ফরাসি মিডিয়াকে এ কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান দ্য ফ্রান্স ২৪ টেলিভশন নেটওয়ার্ককে বলেন, ‘কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি ততদিন খোলা থাকবে যতদিন কাতার চাইবে’।
২০১৪ সালে কাতার এবং তুরস্কের মধ্যে এক সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই সামরিক চুক্তি অনুযায়ী কাতার তার ভূমিতে একটি সামরিক ঘাঁটি তৈরী করতে আঙ্কারাকে অনুরোধ করে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেন, কাতারের মত সৌদি আরবেও তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি করার প্রস্তাব করার হয় কিন্তু ‘রিয়াদ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার জন্য সময় চেয়েছে’।
কাতারে তুর্কি সামরিক ঘাঁটির নির্মাণ কাজ চলছে কিন্তু সৌদি আরব কর্তৃক আরোপিত ১৩ দফা দাবি অংশ হিসেবে কাতারকে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি তুলে দিতে বলা হয়। কাতার তাদের দাবি মানতে নারাজ।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘যদি কাতার আমাদেরকে দোহা ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করে, আমরা দোহায় এক মুহূর্তের জন্যও অবস্থান করবো না’। ‘কিন্তু সৌদি আরব ও তার মিত্ররা কেন এ ধরনের দাবি করলো? সেখানে তো মার্কিন ও ফরাসি সামরিক ঘাঁটিও আছে।’
এরদোগান এসব কিছুর জন্য আমেরিকান কমান্ডকে দায়ী করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কাতারের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রতি অনুগত থাকব এবং আমরা কাতার সঙ্কটের শেষ পর্যন্ত দেখবো’।
তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি তুলে দেয়া, আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করা এবং ইরানের সাথে সম্পর্ক হ্রাস করাসহ ১৩ দফা দাবি বেধে দিয়েছিল সৌদি আরব ও তার মিত্ররা। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এ ১৩ দফা দাবিকে বাস্তবতা বর্জিত বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তুরস্ক উপসাগরীয় সঙ্কটকে প্রশস্ত করতে চায় না এবং সৌদি আরবকে এই সঙ্কট আরো বড় করতে নিষেধ করে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এখনো এই সঙ্কট সমাধানের আশা ছেড়ে দেন নাই।
গত মাসে সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও ইয়েমেন দোহার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। পরে কাতারের সাথে বিমান, সমুদ্র ও স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। কাতার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দেয় এই অভিযোগে প্রতিবেশী দেশগুলো তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
চরমপন্থার সঙ্গে কথিত যোগসাজশের যে অভিযোগ কাতারের বিরুদ্ধে উঠেছে, কাতার তা অস্বীকার করেছে এবং কূটনৈতিকভাবে এই পদক্ষেপকে ‘অন্যায়’ বলে অভিহিত করেছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএম