ভূরুঙ্গামারী (কড়িগ্রাম) সংবাদদাতা :
“ সংগঠিত জনগণই ইতিহাসের নির্মাতা ” শ্লোগানকে সামনে রেখে গঠিত হলো রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখা । উপজেলার খান মোড়ের অস্থায়ী কার্যালয়ে একাধিক প্রস্তুতি সভা শেষে সম্প্রতি সংগঠনটির ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা কমিটির নাম ঘোষনা করা হয়। ইতিমধ্যেই ঘোষিত কমিটিকে অনুমোদন দিয়েছেন জেলা গণকমিটির সভাপতি (অবঃপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা) মোঃ তাজুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ মিলন এবং প্রধান সমন্বয়ক কলামিস্ট নাহিদ হাসান নলেজ।
সদ্যঘোষিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মাস্টার, সাধারন সম্পাদক হিসেবে সহঃ অধ্যাপক লতিফুর রহমান দুলাল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রক্তদাতা সংগঠন সাগাই’র সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ যুবরাজ খান। সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিতরা হলেন- অধ্যক্ষ মুহঃ লুৎফর রহমান, অধ্যক্ষ মোঃ বাবুল আক্তার, নিজাম উদ্দীন ব্যাপারী, মুক্তিযোদ্ধা এটিএম শাজাহান মানিক , ডাঃ মোঃ ফরহাদ হোসেন, অবঃপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল হোসেন এবং মোঃ গোলাম ইয়াছিন (ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ)। যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন- মোঃ শাজাহান আলী (চেয়ারম্যান, সোনাহাট ইউপি), রাজু আহমেদ খোকন (চেয়ারম্যান, আন্ধারিঝাড় ইউপি) এবং মনিরুজ্জামান ভাসানী । অন্যান্য পদে যারা আছেন তারা হলেন- মহিলা বিষয়ক সম্পাদক – সহঃ অধ্যাপক ললিতা আকতার, দপ্তর সম্পাদক- প্রভাষক মোখলেছুর রহমান মন্টু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক- শ্রমিক নেতা আজিজার রহমান বাবলা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- ওমর আলী, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- আব্দুল্লাহ আল মামুন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মমিনুল ইসলাম লুজা এবং তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন প্রভাষক মিজানুর রহমান হালিম।
কার্যনির্বাহী পরিষদের সম্মানীত সদস্যগন হলেন- এ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক প্রামানিক, সাংবাদিক এম.এ.মোতালিব, আলহাজ্ব জুলহাস উদ্দীন, মোঃ হায়দার আলী, মহসিন রেজা বাদল, জাকিরুল আলম (সায়েম ব্যাপারী), মটর মালিক সমিতির শামীম সরওয়ার, এনামুল হক সরকার, ডেন্টিস্ট আমজাদ হোসেন সরকার, প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী, কৃষিবিদ আব্দুল আলীম, আশরাফুল আলম সবুজ, জাহিদুল ইসলাম, শাহীন আলম, সঞ্জিব কুমার রায়, চঞ্চর কুমার রায় এবং সাংবাদিক আব্দুল লতিফ।
গণকমিটি একটি অলাভজনক অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন। এটি দল-মতের উর্ধ্বে উঠে শুধুমাত্র স্থানীয় পর্যায়ে স্বেচ্ছায় সমাজ কল্যানে কাজ করে যেতে চায়। স্থানীয় দেশপ্রেমিক জনগনই হচ্ছে গণকমিটির মূল চালিকাশক্তি। সর্বদা সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজবাসীর প্রত্যাশারই প্রতিফলন থাকবে গণকমিটির সমস্ত চাওয়া-পাওয়ায়। সুতরাং দৃশ্যমান ৩৭ সদস্যের কমিটি গঠিত হলেও এর বিভিন্ন পদ, মেয়াদ এবং পরিধিতে যেকোন সময় যেকোন ধরনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আসতে পারে। পরিবর্তন আসতে পারে গণদাবীগুলিতেও। তবে দীর্ঘদিন জমে থাকা কয়েকটি স্থানীয় গণদাবীকে টার্গেট করেই যাত্রা শুরু করলো গণকমিটি।
প্রধানতঃ ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট হতে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের যৌক্তিক দাবী আদায়ে তৎপরতা চালিয়ে যাবে সংগঠনটি। একইসাথে ভূরুঙ্গামারী-কুড়িগ্রাম সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ রায়গঞ্জ ব্রীজের পূনঃনির্মান, সোনাহাট স্থলবন্দরে দ্রুত ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালুকরন, স্থলবন্দরে তফসিলী ব্যাংকের শাখা চালুকরন, শিলখুড়ী ইউপির শালঝোড় ঘাটে শঙ্কোষ নদীর উপর সেতু নির্মান, সদর- চরভূরুঙ্গামারী রুটের সামাদের ঘাটে সেতু নির্মান, সার্বিক স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নসহ ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আধুনিকায়ন, ১৯৫৬ইং সালে প্রতিষ্ঠিত ভূরুঙ্গামারী পাবলিক ক্লাব ও লাইব্রেরীকে (গভঃ নিবন্ধিত) অপদখলমুক্ত করে বিনোদনসহ জ্ঞানচর্চার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টিকরন, উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন প্রস্তাবিত ওয়াজেদ-হালিমা গণপাঠাগারের বাস্তবায়ন, সড়ককাটা-রামখানা রুটের আরফান হাজীর ঘাটে ফুলকুমারের উপর সেতু নির্মান, ভূরুঙ্গামারী বাসস্ট্যান্ড-শিলখুড়ী পূর্ণাঙ্গ বাইপাস সড়ক নির্মান, উপজেলা পরিষদ হলরুমকে ‘বীরঙ্গনা মিলনায়তন’ নামকরন, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কের নামকরন, বেকারত্ব লাঘবে স্থানীয় পর্যায়ে শিল্প কারখানা স্থাপন, প্রস্তাবিত সোনাহাট নৌ বন্দরের বাস্তবায়ন এবং সদরের ৮নং ওয়ার্ডে অবস্থিত উপমহাদেশের বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রয়াত মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর স্মৃতিচিহ্নে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা আদায়ের দাবীতেও ইতিবাচক তৎপরতা চালিয়ে যেতে চায় গণকমিটি
দৈনিক দেশজনতা/এন আর