লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা ইছাপুর ইউপি ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল বেপারী সোমবার সকালে সোন্দরা গ্রাম থেকে খাজুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী নাসরিন আক্তার পপিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারী ছাত্রীর মা পাখি বেগম বাদী হয়ে থানা এজাহার দায়ের করায় ছাত্রলীগ নেতার ক্যাডার বাহিনীর হুমকি ধামকিতে বাদি ও তার পরিবারের সদস্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেডাচ্ছে। ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার নেতৃত্বদান কারী জুয়েল বেপারী সোন্দড়া গ্রামের আবু তাহের প্রকাশ কসাই তাহের এর ছেলে।
সুত্রে জানায় সোন্দরা বেপারী বাড়ির মনা মিয়ার ছোট মেয়ে ও খাজুরিয়া বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী নাসরিন আক্তার পপিকে স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় ইছাপুর ইউপি ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক জুয়েল বেপারী দীর্ঘ দিন যাবত উত্যক্ত করতো। ছাত্রীর মা পাখি বেগম সৃষ্ট ঘটনায় গ্রাম্য মাতাব্বরদের জানালে জুয়েল বেপারী ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে। ছাত্রীর বড় বোন মুক্তা বেগম বলেন, জুয়েল বেপারী নয়া বাজারের জাহাঙ্গীর আলম, আজাদ ডাক্তারসহ ৮/১০জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বসতঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে আমার মা পাখি বেগমকে মারধর করে ছোট বোন নাসরিন আক্তার পপিতে তুলে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জুয়েল বেপারীকে না পেয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম ও আজাদ ডাক্তার বলেন, আমরা বিষয়টি কিছুই জানি না। স্থানীয় ইউপি মেম্বার দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
ইছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ বলেন, শুনেছি ছাত্রীকে তুলে নিয়ে পৌর শহরস্থ বাশঘর এলাকাতে ছেলের আত্মীয় এর বাসাতে বিয়ে হয়েছে। রামগঞ্জ থানার ওসি মোঃ তোতা মিয়া বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএম