নিজস্ব প্রতিবেদক:
হঠাৎ করেই বাজারে কাঁচা মরিচের দাম আকাশ চুম্বি। পাইকারী দরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। মরিচের এই অতিমাত্রা ঝালের কারনে ক্রেতা সাধারনের নাভীশ্বাস উঠেছে। বগুড়ার শাজাহানপুর, শেরপুর, গাবতলী, মহাস্থান, সারিয়াকান্দি, চন্দন বাইসা, ফুলবাড়ি, ধুনট, নন্দীগ্রাম ও সান্তাহারের হাট-বাজারগুলো ঘুরে দেখাগেছে, পাইকারী দরে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। পাশেই খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা কেজি। পাইকারী দরের চেয়ে খুচরা বাজারে দ্বিগুন দামে বিক্রি করার কারন জানতে চাইলে দোকানীরা যুক্তি সংগত কোন কারন জানাতে পারেনি। তবে হাটের টোল পরিমানের তুলনায় বেশী বলে জানিয়েছেন অনেকে। আর এই টোল/ খাজনা আদায়ে মনিটরিং না থাকা ও পাইকারী বাজারের সাথে মিল রেখে খুচরা বিক্রির তদারকির কোন ব্যাবস্থা না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা সাধারন। তারা বলছেন, ইচ্ছেমত ইজারাদারদের খাজনা আদায় বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। তাছাড়া খাজনা / টোল আদায়ের সাইনবোর্ড থাকার বিধান থাকলেও একটি বাজারেও তা দেখা যায়নি। ইচ্ছেমত খাজনা আদায়ের জন্যই সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে। তারা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, খাজনা আদায়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হলেও সরকার নির্ধারিত খাজনার পরিমান দেখার জন্য জনগনের অধিকার সম্বলিত এই সাইনবোর্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনা কেউ। তবে আশ্চার্য হলেও সত্য,বগুড়া থেকে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রফতানি হলেও এখানকার কাচাঁ বাজারে মধ্যসত্বভোগীদের অতি মুনাফা লোভ মানুষের জীবনকে করেছে দুর্বিসহ। আর পাইকারী থেকে খুচরা বিক্রির মনিটরিং ব্যাবস্থা ও বাজার কমিটি / ইজারাদারদের কর্মকান্ডের তদারকির ব্যবস্থা না থাকায় বাজার হয়ে পড়ছে নিয়ন্ত্রনহীন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ