নিজস্ব প্রতিবেদক:
উজানের ঢলের কারনে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে তিস্তা অববাহিকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০ মিটার) ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে রাখা হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে এই প্রথমবার তিস্তা বিপদসীমা অতিক্রম করলো। তবে উজান হতে যে ঢল আসছে তা কাঁদামাটি মেশানো ঘোলা পানি বলে তিস্তাপাড়ের লোকজন জানান।
এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার ২৫টি চর ও গ্রামের ১০ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রমতে, তিস্তার উজানে ভারী বৃষ্টিপাত, পাহাড়ী ঢল ও গজলডোবা ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে ভাটিতে পানি ছেড়ে দেয়ার কারনে তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ফরেষ্টের চরের ১৫টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে।
পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। পূর্ব ছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, ঝাড়সিংহের চর এলাকার বসতবাড়িতে ইতিমধ্যে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। তিস্তাবেষ্টিত গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করেছে। অপরদিকে জলঢাকার ডাউয়াবাড়ি, হলদিবাড়ি, গোপালঝাড়, আলসিয়াপাড়া এলাকায় বন্যার পানির স্রোতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর