নিজস্ব প্রতিবেদক:
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ঢাকা মহানগরকে দুই ভাগ করে নতুন কমিটি ঘোষণা দেয় বিএনপি। এতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য আসে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় কিছু হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা মহানগর বিএনপির থানা ও ওয়ার্ড কমিটির পুনর্গঠন ও নতুন কমিটি না হওয়ায় এলোমেলো অবস্থা বিরাজ করছে। এমন কিছু থানা রয়েছে যেগুলোতে কমিটির মেয়াদ প্রায় দুই যুগ। ফলে তৃণমূলের সাথে সিনিয়র নেতাদের দূরত্ব বাড়ছে। এ অবস্থায় সময়মতো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ব্যর্থ হলেও দ্রুত তা ঘোষণা করবে ঢাকা মহানগর বিএনপি। অন্য দিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যোগ্য, তরুণ ও ত্যাগীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ব্যাপারে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা মহানগর বিএনপি। তারই অংশ হিসেবে স্বল্প সময়ের মধ্যে মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে থানা কমিটি গঠনে সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলÑ বিএনপির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তরের আংশিক নির্বাহী কমিটি অনুমোদন করা হয় গত ১৮ এপ্রিল রাতে। মহানগর দক্ষিণে বিএনপির ৭০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে সভাপতি হন হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার। অন্য দিকে ৬৬ সদস্যবিশিষ্ট মহানগর উত্তরে বিএনপির সভাপতি হন এম এ কাইয়ুম ও সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান।
জানা গেছে, মহানগর বিএনপির উত্তর ও দেিণর আংশিক কমিটি ঘোষণার পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর হয়ে ওঠে। তারা জানতে পারে কমিটি ঘোষণায় নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ও শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। এ জন্য ঢাকা মহানগর বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করছে সংস্থাগুলো। এসব সংস্থার প্রতিবেদনে কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া নেতাদের মামলা ও রাজনৈতিক পরিচয় স্থান পায়। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিগত সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থতার প্রধান কারণ হিসেবে ঢাকা মহানগর বিএনপির দুর্বল নেতৃত্বকে দায়ী করেন দলের সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতারা। এ জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা মহানগর নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদপে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। মূলত ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি সাদেক হোসেন খোকা ও মির্জা আব্বাসের মধ্যে কোন্দল থাকায় দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী এবং সরকারবিরোধী আন্দোলন পরিচালনা করতে পারেনি মহানগর বিএনপি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এমন অবস্থার মধ্যেই বেগম খালেদা জিয়ার সম্মতিতে ঢাকা মহানগর দেিণ ৭০ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরে ৬৬ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে ২০১৪ সালের ১৮ জুলাই মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক ও হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে সদস্যসচিব করে ৫২ সদস্যের ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি ঘোষণার পর দলীয় কোন্দল এবং প্রতিকূল পরিবেশের কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলনও গড়ে তুলতে পারেনি মহানগর বিএনপি। জানা গেছে, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তাদের পর্যালোচনায় বলেছেÑ ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন কমিটিতে তরুণ নেতাদের স্থান দেয়া হয়েছে। তবে কিছু নেতা কাক্সিক্ষত পদ না পাওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। যদিও বিএনপির অভ্যন্তরে কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। সেই সাথে খোকাপন্থী ও আব্বাসপন্থী হিসেবে অনেকের তকমা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সংস্থার পর্যালোচনার ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর কমিটিকে পর্যবেণে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন কমিটির কার্যক্রম ও পূর্ণাঙ্গ কমিটির ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল নয়া দিগন্তকে বলেন, নতুন কমিটি হওয়ার পর আমরা সংগঠনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। এখনো আমরা নিজেরাই পর্যবেক্ষণ করছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। এতে যোগ্য, দক্ষ ও ত্যাগীদের প্রাধান্য দেয়া হবে। তবে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে সময় লাগবে। সব মিলিয়ে আগামী দিনে সহায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির অন্যতম এই যুগ্ম মহাসচিব।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলÑ বিএনপির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তরের আংশিক নির্বাহী কমিটি অনুমোদন করা হয় গত ১৮ এপ্রিল রাতে। মহানগর দক্ষিণে বিএনপির ৭০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে সভাপতি হন হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার। অন্য দিকে ৬৬ সদস্যবিশিষ্ট মহানগর উত্তরে বিএনপির সভাপতি হন এম এ কাইয়ুম ও সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান।
জানা গেছে, মহানগর বিএনপির উত্তর ও দেিণর আংশিক কমিটি ঘোষণার পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর হয়ে ওঠে। তারা জানতে পারে কমিটি ঘোষণায় নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ও শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। এ জন্য ঢাকা মহানগর বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করছে সংস্থাগুলো। এসব সংস্থার প্রতিবেদনে কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া নেতাদের মামলা ও রাজনৈতিক পরিচয় স্থান পায়। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিগত সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থতার প্রধান কারণ হিসেবে ঢাকা মহানগর বিএনপির দুর্বল নেতৃত্বকে দায়ী করেন দলের সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতারা। এ জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা মহানগর নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদপে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। মূলত ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি সাদেক হোসেন খোকা ও মির্জা আব্বাসের মধ্যে কোন্দল থাকায় দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী এবং সরকারবিরোধী আন্দোলন পরিচালনা করতে পারেনি মহানগর বিএনপি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এমন অবস্থার মধ্যেই বেগম খালেদা জিয়ার সম্মতিতে ঢাকা মহানগর দেিণ ৭০ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরে ৬৬ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে ২০১৪ সালের ১৮ জুলাই মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক ও হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে সদস্যসচিব করে ৫২ সদস্যের ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি ঘোষণার পর দলীয় কোন্দল এবং প্রতিকূল পরিবেশের কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলনও গড়ে তুলতে পারেনি মহানগর বিএনপি। জানা গেছে, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তাদের পর্যালোচনায় বলেছেÑ ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন কমিটিতে তরুণ নেতাদের স্থান দেয়া হয়েছে। তবে কিছু নেতা কাক্সিক্ষত পদ না পাওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। যদিও বিএনপির অভ্যন্তরে কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। সেই সাথে খোকাপন্থী ও আব্বাসপন্থী হিসেবে অনেকের তকমা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সংস্থার পর্যালোচনার ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর কমিটিকে পর্যবেণে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন কমিটির কার্যক্রম ও পূর্ণাঙ্গ কমিটির ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল নয়া দিগন্তকে বলেন, নতুন কমিটি হওয়ার পর আমরা সংগঠনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। এখনো আমরা নিজেরাই পর্যবেক্ষণ করছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। এতে যোগ্য, দক্ষ ও ত্যাগীদের প্রাধান্য দেয়া হবে। তবে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে সময় লাগবে। সব মিলিয়ে আগামী দিনে সহায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির অন্যতম এই যুগ্ম মহাসচিব।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ