নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং এর প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছে নোয়াখালীর জনগণ। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও, হামলা, ভাংচুরের ঘটনাও ঘটছে। এতো কিছুর পরও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারছেনা বিদ্যুৎ বিভাগ। এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাহকদের মাঝে। তবে আগে ছেয়ে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম থেকেই নোয়াখালী সদর, বেগমগঞ্জ, হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, সেনবাগ, চাটখিল, সোনাইমুড়ী ও সুবর্নচর উপজেলায় ভয়াবহ লোডশেডিং শুরু হয়। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বার বার বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল পাচ্ছেনা। ভয়াবহ লোডশেডিং এর কারণে চাটখিলসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিগত এইচএসসি পরীক্ষা দিতে হয়েছে মোমবাতি জ্বালিয়ে। হাসপাতালে অপারেশনও করতে হয় মোমবাতির আলোয়। তবে শহরাঞ্চলের চাইতে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং এর ভয়াবহতা বেশি বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। গ্রামে সন্ধা হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। আকাশে সামান্য মেঘ দেখা দিলেই সেদিন আর বিদ্যুতের আলো দেখেনা গ্রামের গ্রাহকরা।
এদিকে ভয়াবহ লোডশেডিং এর প্রতিবাদে ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে শুক্রবার সন্ধায় বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বিদ্যুৎ গ্রাহকরা স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস (বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র) ঘেরাও করে। তারা লোডশেডিং মুক্ত কুতুবপুরের দাবিতে শ্লোগান দেয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা জানান, কুতুবপুর ইউনিয়নে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হলেও কুতুবপুর এলাকার গ্রাহকরাই ঠিকমতো বিদ্যুৎ পায়না। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বিদ্যুতের অভাবে ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। অনেকের ড্রিফ ফ্রিজ নস্ট হয়ে গেছে। সেখানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১৪ ঘন্টাই লোডশেডিং থাকে বলে তারা অভিযোগ করেছেন।
এর আগে গত ১০ জুন অসহনীয় লোডশেডিং, ভুতুড়ে বিল প্রদান, বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে ও নিরবিছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে জেলা শহর মাইজদি নতুন বাস স্টান্ড সংলগ্ন জেলা বিদ্যুৎ অফিসে বিক্ষুদ্ধ গ্রাহকরা হামলা চালিয়ে ৪ বিদ্যুৎ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহকরা ব্যাপক ভাংচুর করে। একই দাবিতে গত ২৫ মে হাতিয়ায় বিদ্যুৎ অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায় বিক্ষুদ্ধ গ্রাহকরা। এ সময় অফিসের স্টাফরা পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
বিদ্যুতের লোডশেডিং এর বিষয়ে শনিবার পৌনে ১০ টায় নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম শংকর লাল দত্তের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, ঈদ কেন্দ্রীক গত কয়েক দিন আমাদের কিছু সমস্যা ছিল। এখন আর লোডশেডিং নাই। আমাদের যা চাহিদা তাই পাচ্ছি। সুতরাং প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা লাইনের কোন সমস্যা ছাড়া এখন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ