নিজস্ব প্রতিবেদক:
চোরাকারবারীদের ধরতে গিয়ে লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তের তিস্তা নদীতে পড়ে প্রাণ হারানো বিজিবির ল্যান্স নায়েক হবিগঞ্জের সুমন মিয়াকে অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় জানিয়েছে হাজারো মানুষ।
শুক্রবার (৩০ জুন) সকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নের আটঘরিয়া গ্রামে জানাজা শেষে মা-বাবার কবরে পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে রাত ১টার দিকে বিজিবি সদস্যরা তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে এবং পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। সুমনের মরদেহ বাড়িতে আসার খবরে বন্ধু-স্বজনসহ হাজার হাজার লোকজন একনজর দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় জমায়। এ সময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানাজা নামাজের আগে বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদুল হক, পইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ, সাবেক চেয়ারম্যান সাহেব আলী, মেজর শাফি, সুমনের বড় ভাই আব্দুল কবির প্রমুখ। জানাজায় এলাকার হাজার লোকজন অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৭ জুন) ভোরে চোরাকারবারীদের ধরতে গিয়ে লালমনিরহাট জেলার দহগ্রাম সীমান্তের তিস্তা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হন বিবিজির ল্যান্স নায়েক সুমন। পরদিন ভারতের কোচবিহার এলাকায় তার মরদেহ উদ্ধার করে বিএসএফ। এরপর বিজিবির কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ