জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালত এদিন ধার্য করেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদকে জেরা করেন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান ও আমিনুল ইসলাম।
জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত পরবর্তী দিন ধার্য করেন ৬ জুলাই।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টায় আদালতে পৌঁছান বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় গুলশানের নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে তিনি আদালতের উদ্দেশে রওনা হন বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
এর আগে গত ২২ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদকে আংশিক জেরা করেন বেগম খালেদা জিয়া আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। এরপর বেগম খালেদার জিয়ার আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার সময়ের আবেদন করেন।
আবেদনে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত। তিনি বারডেম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে ২৯ জুন ফের নতুন তারিখ ধার্য করেন।
একই সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়াকে হাজির হতে হবে বলে জানান আদালত। তবে আবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার সময় তার উপস্থিত না থাকলেও চলবে বলে জানান আদালত।
গত ১৫ জুন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদকে জেরা করেন খালেদার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ