স্বাস্থ্য ডেস্ক:
রোজকার খাবারের তালিকায় হয়ত কিশমিশ থাকে না। কিন্তু কিশমিশ ব্যবহার সাধারণত হয়ে থাকে বিশেষ খাবার তৈরিতে। কেক, ফিরনি, পোলাও, কোরমা, সেমাই ইত্যাদি খাবারে অন্যান্য মশলার পাশাপাশি স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয় কিশমিশ। অথচ কিশমিশ রাখা উচিত প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। কারণ ছোট থেকে বড় সবার জন্যই কিশমিশ খুবই উপকারী।
প্রতি ১০০ গ্রাম কিশমিশে রয়েছে:
এনার্জি ৩০৪ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৬ গ্রাম, ডায়েটারি ফাইবার ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ৭.৭ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম ও সোডিয়াম ২০.৮ মিলিগ্রামভ
জেনে নিন কিশমিশের কিছু গুণের কথা –
১. বয়সের ছাপ বিলম্বিত করে:
কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বক ভালো রাখে, বয়সের ছাপ সহজে পড়তে দেয় না।
২. মুখের স্বাস্থ্যবান্ধব:
কিশমিশ মিষ্টিজাতীয় খাবার হলেও দাঁত বা মুখের কোনো ক্ষতি করে না। বরং মুখের স্বাস্থ্য বা ওরাল হেলথের পক্ষে কিশমিশ বিশেষভাবে উপকারী। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ওরাল ব্যাকটেরিয়া নিমূর্ল করতে সাহায্য করে।
৩. দাঁতের জন্য ভালো:
কিশমিশের শর্করা মূলত ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ জাতীয়। ফলে দাঁতে কোনো ক্যাভিটি তৈরি হয় না। সকালের নাশতা অথবা দুপুরের সালাদে কিশমিশ রাখতে পারেন নির্দ্বিধায়।
৪. ফলের বিকল্প:
গাজর, নানা রকম ফল নিয়মিত খেতে বলা হয় দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখা ও ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখার জন্য। কারণ এগুলোতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ক্যারোটিনয়েড ইত্যাদি। সঠিক পরিমাণে এগুলো পেতে গেলে দিনে অন্তত ৩টি ফল খাওয়া উচিত। সব সময় তা সম্ভব নাও হতে পারে। বিকল্প হিসেবে তখন খেয়ে নিতে পারেন একমুঠো কিশমিশ।
৫. শক্তি প্রদানকারী:
কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যা তাত্ক্ষণিকভাবে শক্তি প্রদান করে। একমুঠো কিশিমিশ বাদামের সাথে মিশিয়ে খান। এতে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি, প্রোটিন এবং ফাইবার পাবেন।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কিশমিশ খুব কাজে দেয়। কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করতে রোজ খানিকটা কিশমিশ খান।
৭. রক্তস্বল্পতা দূর করে:
কিশিমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও পটাশিয়াম। যা রক্তস্বল্পতা দূর করে ও রক্তের সংবহন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ