টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক স্বীকারোক্তিতে রমেশ নামের ওই ব্যক্তি আরো বলেছেন, শুক্রবার হরিয়ানা রাজ্যে ওই হামলার ঘটনার সময় তিন মদ্যপ ছিলেন।
ওই দিন ছুরি হাতে প্রায় ২০ উগ্র হিন্দুর একটি দলের হামলায় আক্রান্ত চার মুসলিম তরুণের একজন ১৬ বছর বয়সি জুনাইদ খান নিহত হয়। আহত বাকি তিনজনের চিকিৎসা চলছে।
তবে রমেশ তার স্বীকারোক্তিতে গরুর গোশতের কথা বললেও ভারতের পুলিশ বলেছে, ট্রেনে বসার জায়গা নিয়ে বচসার এক পর্যায়ে চার মুসলিম তরুণ আক্রান্ত হন।
টিভি ক্যামেরার সমানে রমেশ বলেন, তার বন্ধুরা তাকে বলেছিলেন, মুসলিম তরুণরা গরুর গোশত খায় বলে তাদের ওপর হামলা করতে হবে।
নিহত জুনাইদ খানের পিতা বলেছেন, তার ছেলেসহ চার মুসলিম তরুণের ইসলামি পোশাক নিয়ে প্রথমে উপহাস করা হয় এবং এরপর তাদের ওপর ছুরি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে উগ্র হিন্দুরা।
জুনাইদের ভাই হাসেম বলেছেন, আক্রান্ত চার তরুণ বারবার নিজেদের কাছে গরুর গোশত নেই বলার পরও হামলাকারীদের মনে দয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, “আক্রান্ত মুসলিম তরুণদের হাতে থাকা একটি খাবারের প্যাকেটের দিকে ইঙ্গিত করে হামলাকারীরা বলে, তারা গরুর গোশত বহন করছে বলে তাদেরকে ট্রেনে বসতে দেয়া হবে না। ”
হরিয়ানায় শুক্রবারের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রমেশ ছাড়া আরো এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএম