নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষের স্রোতে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এতে মহাসড়কের গাজীপুর অংশের অনেক স্থানেই যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। তবে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে দেখা গেছে।
হাইওয়েতে প্রয়োজনের তুলনায় যানবাহন সঙ্কটে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। অনেকেই বাস, ট্রাক পিকআপ ভ্যানের ছাদে করে এবং হালকা যানবাহনে চড়ে যাচ্ছেন দূর-দূরান্তে। এতে বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে ট্রাকচালক মারা যান। এতে ওই মহাসড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
ফলে গাড়ির চাপ থাকায় সকাল থেকেই ওই মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাইপাস, সূত্রাপুর ও টাঙ্গইালের এলেঙ্গা, মির্জাপুর অংশে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। তবে চন্দ্রায় যানবাহন চলছে স্বাভাবিকভাবেই।
এদিকে, ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় যানবাহনের চাপ থাকলেও থেমে নেই কোনো যানবাহন। কিন্তু চন্দ্রা ও চান্দনা চৌরাস্তায় যাত্রী ওঠানামা করায় মাঝেমধ্যে জটলা তৈরি হচ্ছে। এছাড়া ঘরমুখো মানুষের রিজার্ভ করা গাড়ির লম্বা লাইন রয়েছে দু’টি পয়েন্টেই।
পুলিশ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে যানজট নিরসনে কাজ করছে। গাজীপুরের পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারাও রয়েছেন সড়কে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, জনদুর্ভোগ কমাতে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, আনসার ও কমিউনিটি পুলিশ কাজ করছে। এতে যানজট সহনীয় মাত্রায় রয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ