নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বামী ও সতিনের নির্যাতনে মৃত্যু হওয়া হতভাগি খাদিজার দাফন হলো ৩ দিন পর। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের তালুক শাহবাজ গ্রামে।পারিবারিক ও থানা সূত্রে জানাগেছে খাদিজা ঢাকায় গার্মেন্ট এ চাকুরী করার সময় পরিচয় হয় একই উপজেলার তালুকশাহবাজ গ্রামের হেবল ওরফে ভরসা এর পুত্র সাবলু মিয়ার সাথে। পরিচয় থেকে পরিনয় অতপর বিয়ে।
সাবলু পূর্বের বিয়ে গোপন রেখে খাদিজাকে বিয়ে করে। খাদিজা সাবলুকে জানিয়েছিল তার আগে একবার বিয়ে হয়েছিল এবং সে ঘরের একটি ছেলে আছে। তখন সাবলু সবকিছুই মেনে নেয়। ঢাকায় থাকাকালিন তাদের সুখেই চলছিল সংসার। এরপর খাদিজা শশুর বাড়িতে এসে দেখে সাবলুর আগের স্ত্রী আছে। তখন আর কিছুই করার নাই। চাকরি বাদ দিয়ে শশুর বাড়িতে আসার পর থেকে শুরু হয় তার উপর অমানুষিক নির্মম অত্যাচর নির্যাতন।
যৌতুকের কারনে তার স্বামী ও সতিন প্রায় সময় তাকে নির্যাতন করতো। ঘটনার দিন গত সোমবার খাদিজার কাছে জমান কিছু টাকা ছিল তা নিয়ে স্বামীর সাথে কথাকাটাকাটি শুরুর একপর্যায়ে তাকে শতিন ও স্বমী মিলে বেদম মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে কাউনিয়া মেডিকেলে নিয়ে আসলে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেলে প্রেরন করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় খাদিজা মারাযায়। মারা যাওয়ার খবর শুনে খাদিজার স্বামী সাবলু পলাতক ও তার মোবাইল বন্ধ।
খাদিজার লাশ নেয়ার কোন লোক না থাকায় খবর পেয়ে খাদিজার বাবার বাড়ির লোকজন এসে লাশ নিয়ে খোপাতি গ্রামে ৩ দিন পর গত বুধবার তাকে দাফন করে।
ওসি মামুন আর রশিদ জানায়, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে খাদিজার পিতার পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খাদিজার পরিবারের পক্ষথেকে হত্যা করার একটি অভিযোগ পাওয়াগেছে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা দায়ের করা হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ