নিজস্ব প্রতিবেদক:
হিন্দু নেতাদের দাবি, “দেশে জঙ্গি হামলার পর থেকে গ্রামে পূজা পার্বন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। হিন্দু সম্প্রদায় নিরবে দেশত্যাগ করছে। দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। সরকারি দলের সম্পৃক্ততা আর সরকারের নির্লিপ্ততা প্রমাণ করে সরকার এদেশ হিন্দু শূন্য করতে উঠে পড়ে লেগেছে।”
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় হিন্দু মহাজোটের উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সম্প্রসারিত হলে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট নেতারা সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল, মঠ-মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, খুন, ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সেই সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধত্ব সুনিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠারও দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, সাবেক জেলা জজ ঝুমুর গাঙ্গুলী, সিনিয়র সহসভাপতি ড. সোনালী দাস, ডা. মৃত্যুঞ্জয় রায়, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় কৃৃষ্ণ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এতে দুর্গা পূজায় ৬দিন, রথ যাত্রায় ১ দিন ও শ্রী শ্রী হরি ঠাকুরের জন্মদিন মহাবারুনীতে ১ দিন সরকারি ছুটির দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
বক্তাগণ বলেন, দুর্গা পূজায় ৬দিন, রথ যাত্রায় ১ দিন ও শ্রী শ্রী হরি ঠাকুরের জন্মদিন মহাবারুনীতে ১ দিন সরকারি ছুটির দিন ধার্য করা হোক।
বক্তাগণ আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থনে প্রতিদিনই কোনও না কোনও স্থানে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর বাড়িঘরে হামলা, লুঠপাট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণ চলছে। কিন্তু প্রশাসন ও জাতীয় সংসদ নিরব ভূমিকা পালন করছে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধী বিচারের অযুহাতে, নবীর বিরুদ্ধে কটূক্তির অযুহাতে, নির্বাচনের ভোট দেওয়া ও না দেওয়ার অযুহাতে এবং কোনও কারণ ছাড়াই মূর্তি পূজার অজুহাতে দিনের পর দিন বছরের পর বছর হিন্দুদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন অব্যাহত আছে। গত কয়েক বছর যাবৎ একের পর এক হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল, মঠ-মন্দির বাড়িঘরে হামলা, লুঠপাঠে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে। অথচ বরাবরই অন্য দল বা গোষ্ঠীর উপর দায় চাপিয়ে নিজেদের কর্মীদের রক্ষা করছে।
বক্তাগণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পূনঃস্থাপনের স্বার্থে ও হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষার জন্য জাতীয় সংসদের ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃবাস্তবায়ন, একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়েনের জোর দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ