নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষা কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে ঈদ-উল ফিতরের আগে ফেনীর ৫’শ ৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ হাজার শিক্ষক চলতি মাসের বেতন পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এতে ওই সব শিক্ষকের পরিবারে হতাশা বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০ জুনের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলতি মাসের বেতন পরিশোধের নির্দেশ রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা যথাসময়ে হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে বিল না পাঠানোর কারণে বেতনের চেক তৈরি হয়নি। ফেনী সদর উপজেলায় সদ্য জাতীয়করণ ৪৪টি সহ ১৫১টি, দাগনভূঞা উপজেলায় ১০২টি, সোনাগাজী উপজেলায় ১০৮, ফুলগাজী উপজেলায় ৬৪টি, পরশুরাম উপজেলায় ৪৬টি ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় ৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার তিনশ শিক্ষক ঈদের আগে বেতন পাচ্ছেন না। আজ-কালের মধ্যে পরিশোধ করা না হলে ঈদের একসপ্তাহের ছুটিতে পড়তে হচ্ছে। শিক্ষকরা জানান, আমরা আশায় আছি ঈদের আগেই বেতন পাব। কিন্তু হিসাবরক্ষণ কার্যালয় থেকে জানতে পেরেছি যে ঈদের আগে বেতন-ভাতা হচ্ছে না।সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইউসুফ বলেন, বেতন উত্তোলনের জন্য ১৮ জুন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। ২০ জুনের নির্ধারিত তারিখে বেতন পরিশোধ করা হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম-মহাসম্পাদক মহিউদ্দিন খোন্দকার জানান, ফেনী সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজ (বুধবার) বিকেল ৫টার সময় বেতন উত্তোলনের হিসাব হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারনে শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না। এছাড়া রোজার ১৫ দিনের মধ্যে শান্তি বিনোদনের ভাতাও পাননি ৩০৯ জন শিক্ষক। জনতা ব্যাংক কলেজ রোড শাখা থেকে ২০৭ জন শিক্ষক বেতন-বোনাস কিছুই পাননি। ফেনী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিলকিস আরা বেগম এর জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ