২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৪:১৮

দূর্ণীতির কারনে বামনহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রম বিঘ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নড়াইল সদরের বামনহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নানাবিধ দূর্ণীতি অনিয়মের কারনে প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার সাহাকে ২০১৫ সালের শেষ দিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সহকারি প্রধান শিক্ষক কার্তিক গোলদারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কার্তিক গোলদার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি সুশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, দীপক সাহাকে সাময়িক বরখাস্ত করায়,তার নিকট থাকা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতাপত্র, রেজুলেশন বহি, ল্যাপটপ, ডিজিটাল ক্যামেরা, আলমিরার চাবি সহ বিভিন্ন্ মূল্যবান মালামাল ফেরত দিচ্ছেন না। এতে করে বিদ্যালয়ের পাঠদান সহ স্বাভাবিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বার বার অনুরোধ করা সত্বেও তিনি ওই সব মালামাল ফেরত দিচ্ছেন না। এমনকি আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ওইসব গুরুত্বপূর্ণ মালামাল আটকে রেখেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন ও অন্যান্য ব্যাপার নিয়ে প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার সাহার সাথে সহকারি প্রধান শিক্ষক কার্তিক গোলদার ও সভাপতি সুশান্ত কুমার বিশ্বাসের দ্ব›দ্ব সংঘাত শুরু হয়। এক পর্যায়ে তীব্র আকার ধারন করে। এ দ্ব›দ্ব সংঘাতের সূত্র ধরে আর্থিক অনিয়ম ও নানবিধ দূর্ণীতির কারন দর্শিয়ে প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার সাহাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাকে বরখাস্তের পর দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব সংঘাত আরোও ঘনিভুত হয়। দু’পক্ষের মধ্যে মামলা, হামলা, পাল্টা মামলা হয়ে চরম অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নড়াইল পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস একাধিক সালিশ বৈঠক করেও দু’পক্ষের মধ্যে কোন সমাধান করতে পারেননি। সাময়িক বরখাস্ত করার পর দীপক সাহা বিভিন্ন কারনে এ পর্যন্ত ৩টি মামলা করেছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কার্তিক গোলদার ও সভাপতি সুশান্ত কুমার বিশ্বাস এক জোট হয়ে প্রধান শিক্ষকের নামে মামলা করেন। দু’পক্ষের মামলায় দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ স্থানীয় লোকজন। এতে শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে। সহকারি প্রধান শিক্ষক কার্তিক গোলদার ও সভাপতি সুশান্ত কুমার বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক গাছ বিক্রি ও শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের আর্থিক অনিয়ম করেছেন। সেসব টাকার হিসেব চাওয়ায় দ্ব›দ্ব হয়েছে। শুধু তাই নয় তিনি বিদ্যালয়ের সম্পদ আটকে রেখে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার ক্ষতি করছেন। তার অসহযোগিতার কারনে বিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি চলে যাওয়ার পর থেকে তুলনামুলকভাবে বিদ্যালয়ের ফলাফল অনেক ভালো হচ্ছে। এদিকে বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক দীপক সাহা বলেন, তিনি বিদ্যালয়ে কোন আর্থিক অনিয়ম করেননি। তাকে বে-আইনীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহল বিদ্যালয়ে পড়াশুনার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জুন ২১, ২০১৭ ৬:২৮ অপরাহ্ণ