নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে অতীতে অনেক ভাল নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে। সবার অংশগ্রহণ হলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। সব দল অংশগ্রহণ করলে এবারও সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব।
আাগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে দাতা-সংস্থাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার দুপুরে সিইসি এসব কথা বলেন। হেড অব ইউএনডিপির রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর রবার্ট ডি ওয়ার্টকিনসের নেতৃত্বে প্রায় ২০ জন প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে সিইসি বলেন, ‘আমাদের আইন-কানুন সংশোধন, সীমানা পুনর্বিন্যাস, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, কেন্দ্র পুনর্বিন্যাসের কাজগুলো সামনে রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সামর্থ্য আমাদের আছে কি না বৈঠকে তারা জানতে চেয়েছে। উত্তরে আমরা বলেছি-আমাদের হাতে অনেকগুলো আইন আছে। অতীতে অনেক ভাল নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। সবার অংশগ্রহণ হলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। সব দল অংশগ্রহণ করলে এবারও সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব।’
কেএম নূরুল হুদা আরো বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমরা কারিগরি সহযোগিতা চাই। এছাড়াও নির্বাচনের আগে ভোটার, প্রার্থী ও ইসি; কার কি দায়িত্ব তা নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে। এক্ষেত্রে তারা প্রচারণা উপকরণ প্রস্তুতে সহায়তা করবে।’
সিইসি বলেন, ‘স্মার্টকার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে চোখের আইরিশ ও দশ আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার মেশিন কিনতে আর্থিক সহায়তা চাই। তবে এগুলো ছাড়াই স্মার্টকার্ড দেওয়া সম্ভব। তাই আমরা প্রকল্পটা আরো বাড়াতে চাই। যদিও নির্বাচনের সঙ্গে স্মার্টকার্ডের সম্পর্ক নেই। তবু আমরা সংসদ নির্বাচনের আগে সবার হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিতে চাই।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে এ বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছিলেন, আমরা বলেছি এ নিয়ে ইসির কিছু করার নেই। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত।’
এদিকে হেড অব ইউএনডিপির রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেট রবার্ট ডি ওয়ার্টকিনস বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের ২১ বছরের সম্পর্ক। আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য সকল ধরনের কারিগরি সহায়তা করতে চাই।’
নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা আমাদের বিষয় না। এটা সরকারের বিষয়। আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। আমরা মনে করি, কমিশনের নির্দিষ্ট আইন আছে, এ দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন।’
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১১ জুন ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী, ৬ জুন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক, ৩১ মে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট, ১৮ মে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা হাইকমিশনের আরো দুইজন প্রতিনিধিসহ সাক্ষাৎ করেন, গত ১২ মার্চ নরওয়ে রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকের ও সুইডেন রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রিসেল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
দৈনিক দেশজনতা/এমএম