২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:৩৫

বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ। শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রতিবছর ২০ জুন দিবসটি পালন করে থাকে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আলোচনা, আবৃত্তি ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক হাইকমিশনের প্রতিনিধি এবং অভিবাসন ও শরণার্থী বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বক্তব্য রাখবেন। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন নবনীতা জাহিদ চৌধুরী অনন্যা ও আবৃত্তি পরিবেশন করবেন মাহমুদা সিদ্দিকা সুমী।

বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস এক বাণীতে বলেছেন, ‘যে যত বেশি হারিয়েছে, আমি তারই মুখোমুখি হই তত বেশি। দেখেছি বাসযোগ্য বিশ্ব ও নিজের সন্তানের জন্য তারা তাদের স্বপ্নকে মরতে দিতে রাজি নন। এদের স্বপ্নকে বাঁচাতে আমাদের সামান্য সহায়তা বড্ড প্রয়োজন।’

ছোট্ট দেশ হলেও বাংলাদেশ বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশে অবস্থান। এর মধ্যে গত বছরই নতুন করে প্রায় ৭৬ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে এসেছে।

এর আগে বিশ্ব শরণার্থী দিবস সামনে রেখে গতকাল সোমবার জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, সংঘাতের কারণে ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাপী ছয় কোটি ৫৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সাত দশকে যুদ্ধ, সহিংসতা ও নিপীড়নের কারণে এত বেশি লোকের গৃহহারা হওয়ার ঘটনা আগে ঘটেনি। আগের বছরের চেয়ে বাস্তুচ্যুতির এ পরিসংখ্যান তিন লাখ বেশি।

শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেছেন, ‘যে কোনো মানদণ্ডে এত বেশি সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়া অগ্রহণযোগ্য।’

তিনি বলেন, ‘সংঘাত কবলিত সিরিয়া সপ্তম বছরের মতো সবচেয়ে বেশি শরণার্থীর জন্ম দিয়েছে। সিরিয়ার পর দক্ষিণ সুদানেও সংঘাতে মানুষের শরণার্থী হওয়া বাড়ছে। চলতি ২০১৭ সালের প্রথমার্ধেও শরণার্থী হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে।’

প্রতিবেদন মোতাবেক, ২০১৬ সালে আশ্রয় প্রার্থী (অ্যাসাইলাম শিকার) যারা মা-বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন; তাদের সংখ্যা ৭৫ হাজার। ২০১৬ সালের শরণার্থীদের মধ্যে এক কোটি মানুষের কোনো জাতীয়তা নেই। তারা আসলে রাষ্ট্রহীন হওয়ার আশঙ্কার মধ্যে আছেন। বর্তমানে বিশ্বের ৭৫টি দেশে ৩২ লাখ মানুষ বাস্তুহীন আছেন।

দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ

প্রকাশ :জুন ২০, ২০১৭ ১২:১৯ অপরাহ্ণ