এর আগে, শুক্রবার রাত ১১ টায় নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা তিন জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই আহত শিক্ষার্থী।
শুক্রবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর মাঠ থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে আশঙ্কামুক্ত হলে নিজেই বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলা করেন ফিরোজ।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তার মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনার পরপরই ছিনতাইকারীদের আটকের দাবিতে রাত পৌনে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। প্রক্টরিয়াল বডি এসে ছিনতাইকারীদেরকে দ্রুত আটকের আশ্বাস দিলেও বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত তারা সড়কে অবস্থান করেন।
এদিকে, রাতে বিক্ষোভকালে এক শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) । এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডিকে ঘেরাও করে। প্রথমে কোন শিক্ষার্থীকে ডিবি পুলিশ তুলে নেয়নি বলে এক সহকারী প্রক্টর দাবি করলেও প্রায় আধ ঘন্টা পর ওই শিক্ষার্থীকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘ডিবি পুলিশ আমাকে জোর করে গাড়িতে তুলে কাজলা গেইট পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল। পরে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীরা স্থানীয়দের দ্বারা ছিনতাই ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করে আসছেন। শুক্রবার শিক্ষার্থী ফিরোজকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠার পর ক্যাম্পাসে স্থানীয়দের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানান তারা।
এ দাবিতে শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীরা। ফিরোজের উপর হামলার প্রতিবাদে বেলা ১১ টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে, দুপুর ১২ টা থেকে আবারো ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত তারা মহাসড়কে অবস্থান করছিলেন।